অপরাজিতা।
শান্তশিষ্ট, নিরীহ, ধীর-স্থির, আপন খেয়ালে সামনে এগিয়ে যায় সে। বিপদ বুঝেই মাথা ঢুকিয়ে নেয় খোলসের মধ্যে। খোলসের বাইরের জগত আর ভিতরের জগত তার কাছে ভিন্ন হলেও সুন্দর। সে শামুক— আর তাকে নিয়েই অপরাজিতা আঢ্য বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত একটি শর্টফিল্ম। ছবির নামও ‘শামুক’।
লকডাউনে ঘরবন্দি সকলেই হাঁপিয়ে উঠেছে। বাইরে বেরোনোর জন্য মন আনচান। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে বাচ্চা এবং টিনএজাররা। স্কুল নেই, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ নেই, আড্ডা নেই— বাড়িতে মন টিকছে না তাঁদের। হয়ে যাচ্ছে খিটখিটে, বিরক্ত। অপরাজিতা বলছিলেন, ‘এই কিছুদিন আগে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা হচ্ছিল, ও বলছিল ওর বাড়িতেও একই অবস্থা। বাচ্চারা বাড়িতে থাকতে চাইছে না কিছুতেই। অথচ আমার কিন্তু সে ভাবে কোনও অসুবিধাই হচ্ছে না’।
১৫ মার্চ শেষ শুটিং করেছেন অপরাজিতা। ১৮ মার্চ পরিচালক মৈনিক ভৌমিকের সিনেমার শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। ১৬ মার্চ থেকে বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। কর্মব্যস্ততা হঠাৎ থেমে গেলেও একঘেয়েমি বা বিরক্তি নেই তাঁর জীবনে। কেন? প্রশ্নটা ছুড়ে দিতেই অপরাজিতা তা লুফে নিয়ে বললেন, ‘আমি যে শামুক। ইন্ডাস্ট্রিতে ধীরে ধীরে এগিয়েই আগামী বছর অভিনয় জীবনের পঁচিশ বছর পূর্ণ করব’।
গৃহবন্দি মা, মেয়ের লকডাউন যাপন নিয়েই শামুক-এর গল্প বুনেছেন অপরাজিতা। মেয়ের চরিত্রে রয়েছেন প্রিয়ঙ্কা ভট্টাচার্য এবং মা-র চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপরাজিতা নিজেই।
আরও পড়ুন- করোনার ছোঁয়ায় দীপিকা-প্রিয়ঙ্কাদের টপকে টপে চলে গেলেন কণিকা
দেখুন সেই শর্টফিল্ম
বন্দিদশায় মেয়ে যখন বিরক্ত, তখন ‘মা’ অপরাজিতা কী ভাবে তাঁকে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার সহজপাঠ শেখালেন তা নিয়েই এই ছবি। এই ছবির পাওনা অপরাজিতার সাবলীল অভিনয়। সিনেমাটোগ্রাফি সামলেছেন অপরাজিতার স্বামী অতনু হাজরা। সম্পাদনায় ঋক বসু। কয়েক দিন আগে অপরাজিতা তাঁর নতুন ইউটিউব চ্যানেল লঞ্চ করেছেন, নাম নিরন্তর অপরাজিতা। সেই চ্যানেলেরই প্রথম প্রয়াস এই শর্টফিল্ম। প্রিয়ঙ্কা থাকেন আন্দুলে আর অপরাজিতা বেহালায়। লকডাউন থামাতে পারেনি তাদের কৃষ্টিশীলতাকে। শুধ শামুক-ই নয়, পর পর আরও বেশ কিছু শর্টফিল্ম নিয়ে নিজের চ্যানেলে হাজির হতে চলেছেন অপরাজিতা
আরও পড়ুন- প্রয়াত ইরফান খানের মা, লকডাউনের জেরে শেষ দেখা হল না মা-ছেলের