(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ফারহান আখতার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গেরো কিছুতেই কাটছে না আর ফারহান আখতারের। দীর্ঘ দিন পরে পরিচালনায় ফিরতে চেয়েছিলেন ফারহান। ২০১১ সালে ‘ডন ২’-এর পরে পরিচালনা থেকে লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। প্রায় এক যুগ পরে ‘জি লে জ়রা’ ছবির মাধ্যমে পরিচালকের চেয়ারে ফেরার কথা ছিল তাঁর। তাতেই একের পর এক হোঁচট। ‘জ়িন্দেগি না মিলেগি দোবারা’র ধাঁচে রোড-ট্রিপের একটি ছবি তৈরি করার কথা ছিল ফারহানের। তিন জন ছেলে বন্ধুর বদলে এ বার গাড়ির স্টিয়ারিং থাকার কথা ছিল তিন গার্লফ্রেন্ডের হাতে। ছবিতে প্রাথমিক ভাবে অভিনয় করার কথা ছিল আলিয়া ভট্ট, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস ও ক্যাটরিনা কইফের। সপ্তাহ খানেক আগেই খবর মেলে, তারিখের সমস্যার কারণে ছবি থেকে সরে গিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। শোনা গিয়েছিল, প্রিয়ঙ্কার বদলে অন্য অভিনেত্রী খোঁজার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বার খবর, প্রিয়ঙ্কার বদলে তাঁর চরিত্রে যে অভিনেত্রীকে ভেবেছিলেন ফারহান, তিনিও রাজি নন ছবির জন্য।
২০১১ সালে মুক্তি পায় ‘জ়িন্দেগি না মিলেগি দোবারা’। জ়োয়া আখতার পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ফারহান নিজে। সেই ধাঁচেই আরও একটি ছবি বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। নারীকেন্দ্রিক এই ছবির জন্য ফারহান বেছেছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস, আলিয়া ভট্ট ও ক্যাটরিনা কইফকে। তারিখ সংক্রান্ত সমস্যা ও বার বার ছবির কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় ছবি থেকে সরার সিদ্ধান্ত নেন প্রিয়ঙ্কা।
অনুষ্কা শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর জায়গায় অনুষ্কা শর্মাকে চেয়েছিলেন নির্মাতারা। খবর, প্রিয়ঙ্কার জায়গা ভরাট করতে রাজি নন তিনি। চিত্রনাট্য নিয়ে উৎসাহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত ছবির জন্য হ্যাঁ বলেননি অনুষ্কা। মেয়ে ভামিকার জন্মের পর থেকেই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী। মেয়েকেই বেশি করে সময় দিতে চান তিনি, সে কথা মাথায় রেখেই ছবি করবেন— এ কথা জানিয়েছেন অনুষ্কা নিজেই। ‘জি লে জ়রা’ ছবির জন্য যে যতটা সময় দিতে হবে, তা নাকি সম্ভব হচ্ছে না অভিনেত্রীর পক্ষে। এই যুক্তি দেখিয়েই নাকি ছবিকে না বলেছেন অনুষ্কা।
এ দিকে শোনা গিয়েছিল, প্রিয়ঙ্কার পরে নাকি ছবি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্যাটরিনাও। তবে এখন খবর, ছবিকে না বলার সিদ্ধান্ত নাকি এখনও চূড়ান্ত নয় অভিনেত্রীর।