অনুষ্কা জানান, কারগিল যুদ্ধের সময়ে তিনি অনেকটাই ছোট। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতেন না। এখন নিজে সংসারী, সন্তানের মা। তাই জানেন, কারগিল যুদ্ধের দিনগুলো ঠিক পরিবারের জন্য কতটা উদ্বেগের ছিল। আর সেটাই আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বাবাকে নিয়ে অহঙ্কার, মায়ের জন্য গর্বও।
বাবার সঙ্গে অনুষ্কা।
দেশের জন্য জীবন বাজি রেখেছিলেন বাবা। সেনা অফিসারের মেয়ে হিসেবে তাঁর গর্বের শেষ নেই। বরাবরই সে কথা বলেন অনুষ্কা শর্মা। বাবার কাছেই তাঁর প্রতিনিয়ত মাথা উঁচু করে বাঁচতে শেখা। কিন্তু বাবা যখন কারগিল সীমান্তে, কেমন কেটেছিল সেই দিনগুলো? ফিরে দেখা যাক অভিনেত্রীর ৩৩তম জন্মদিনে।
এক সাক্ষাৎকারে কারগিল যুদ্ধের দিনগুলোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’-এর নায়িকা। তাঁর কথায়, ‘‘বাবা তখন কারগিলে। রোজ কারও না কারও মৃত্যুর খবর কানে আসছে। মা ভয়ে কাঁটা। টেলিভিশনের খবরে চোখ সেঁটে বসে থাকত। কী জানি কখন কী খবর আসে!
আর অনুষ্কা নিজে কী করতেন?
অভিনেত্রী জানান, তিনি নিজে তখন অনেকটাই ছোট। বাবার সঙ্গে কথা হত অল্পস্বল্পই। অনুষ্কার কথায়, ‘‘আমি বাবাকে স্কুলের গল্প বলতাম। আর বলতাম বয়ফ্রেন্ডদের গল্প! বাবা যে যুদ্ধক্ষেত্রে, কিংবা ঠিক কতটা বিপদের মধ্যে রয়েছে, কিছুই বুঝে উঠতে পারতাম না তেমন।’’
অনুষ্কা এখন সংসারী, সন্তানের মা হয়েছেন নিজেও। তাই জানেন, কারগিল যুদ্ধের দিনগুলো ঠিক কতটা ভয়াবহ, পরিবারের জন্য কতটা উদ্বেগের ছিল। আর সেটাই আরও অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে বাবাকে নিয়ে অহঙ্কার, মায়ের জন্য গর্বও।