অনুপমের নতুন অ্যালবাম কলকাতাকে উপহার, বললেন গায়ক। — ফাইল চিত্র।
শিল্পীর কল্পনা কি মাপা যায়! কিংবা বলা ভাল, কল্পনাশক্তিই যে শিল্পীর চালিকাশক্তি। এ বার অনুপমের কল্পনায় ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’। এমনই এক ভাবনা থেকে মুক্তি পেল অনুপমের নতুন গানের অ্যালবাম ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’। এক অভিনব গানের অ্যালবাম প্রকাশের সাক্ষী থাকল কলকাতা। অনুপমের গানের সঙ্গে শিল্পীর ভাবনা দিয়ে তৈরি হয়েছে ভাস্কর্য, কোথাও আবার ছবির হাত ধরে প্রকাশ পেয়েছে অনুপমের গানের অন্তর্নিহিত অর্থ। এই ট্রিপেই সওয়ারি হলেন টলিউডে গায়কের ঘনিষ্ঠ তারকারা। কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিতে প্রকাশিত হল অ্যালবাম। উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।
গানের সঙ্গে সামগ্রিক চিত্র ও ভাস্কর্যকলার এক অভিনব সংযোগ। সুরের সঙ্গে শিল্পের সংমিশ্রণ। অনুপমের এই প্রদর্শনী আগামী দু’দিন কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিতে দেখা যাবে। নতুন এই অ্যালবামে আটটি গান রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি মুক্তি পেয়েছে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। এই অভিনব প্রদর্শনী প্রসঙ্গে ও নিজের অ্যালবাম প্রসঙ্গে অনুপম বলেন, ‘‘আমাদের জীবনকে নিয়ে এই গোটা অ্যালবামটা। আমরা একটা নাগরদোলায় চেপে বসেছি, যা কখনও দেখা যায় না। তবে জীবনের দোলায় দুলছি আমরা। জীবনের বিভিন্ন অনুভূতি কখনও মেনে নিই, কখনও আবার মানি না। জীবনের এই দোলাচলটা নিয়েই গোটা অ্যালবাম।’’
‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবাম প্রকাশের সন্ধ্যায় — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভি জায়গাটি তৈরি করার ভাবনা রিচা অগরওয়ালের। তিনিও হাজির ছিলেন সেই সন্ধ্যায়। তাঁর কথায়,‘‘অনুপমের ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ গানের হাতে ধরেই প্রথম বাংলা গানের সঙ্গে পরিচয়। সেখানে অনুপমের গানের সঙ্গে শিল্পের এমন সংমিশ্রণ কুর্নিশ জানানোর মতো।’’
গীতিকার-পরিচালক চন্দ্রিল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অনুপমের গান ও লেখার ধরন অন্য রকম। অনুপম অন্য রকমের ভাষা নিয়ে এসেছে। তবে আজকে যে অভিনব ভাবে অ্যালবামটা প্রকাশ করল, তা কলকাতায় সচরাচর দেখা যায় না।’’
এই গোটা শিল্পকর্মের পিছনে যার ভাবনা রয়েছে, তিনি কুন্তেয় সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘অনুপম তাঁর গানে কল্পনার ভিত্তিতে নয়, বাস্তবটা তুলে ধরে। অনুপম যে ভাবে একটা পৃথিবী দেখেছেন, অন্য শিল্পী একেবারে অন্য ভাবে দেখেছেন। সেখানেই শিল্পের মাহাত্ম্য। সেই কারণেই এই ধরনের শো খুবই বিরল।’’