অনু মালিক। —ফাইল চিত্র
‘ইন্ডিয়ান আইডল’ ১১-র বিচারকের আসন থেকে ফের সরছেন অনু মালিক। ২০১৮ সালে সোনা মহাপাত্রের যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। তার জেরে যে টিভি চ্যানেলে ইন্ডিয়ান আইডল সম্প্রচার হয়, তার কর্তৃপক্ষকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নোটিস পাঠায় জাতীয় মহিলা কমিশন। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত বলে খবর। ওই চ্যানেলের এক শীর্ষকর্তার সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদ সংস্থা এই খবর জানিয়েছে। তবে সঙ্গীত পরিচালক অনু মালিকের চেয়ারে কাকে বসানো হবে, সে বিষয়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
২০১৮ সালে ইন্ডিয়ান আইডল-১০ চলার সময় গায়িকা সোনা মহাপাত্র অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগের সঙ্গে সুর মেলান নেহা ভাসিন, শ্বেতা পন্ডিতের মতো আরও কয়েক জন। ফলে জনপ্রিয় ওই গানের রিয়্যালিটি শো-এর সিজন-১০ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় অনু মালিককে। সেই একই অভিযোগের ভিত্তিতে এ বারের সিজন থেকেও তাঁকে সরে যেতে হল। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, চ্যানেলের সুনামের স্বার্থে কর্তৃপক্ষই তাঁকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। যদিও প্রকাশ্যে তাঁরা জানাচ্ছেন, অনু মালিক নিজে থেকেই সরে গিয়েছেন বিচারকের আসন থেকে।
আগের সিজন থেকে সরে দাঁড়ালেও এই সিজনে ফের তাঁকে বিচারক করায় নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হন সোনা মহাপাত্র। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির উদ্দেশে ফেসবুকে একটি খোলা চিঠিও লেখেন তিনি। তাতে অনু মালিকের বিষয়টি ফের তুলে ধরেন সোনা। পাশপাশি, ফেসবুক, টুইটারে অনু মালিককে ইন্ডিয়ান আইডল-১১ থেকেও সরানোর দাবি জোরালো হতে শুরু করে।
আরও পডু়ন: এক বছরেই ভেঙে যায় কৈশোরের প্রথম বিয়ে, পুরনো বন্ধুত্বেই নতুন প্রেমের সন্ধান পান সুনিধি
এর পর সক্রিয় হয় জাতীয় মহিলা কমিশন। টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো নোটিসে সোনা মহাপাত্রর টুইটারের উল্লেখ করে কমিশন জানায়, এক বিচারকের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিযোগী যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না এবং ফের সেই অভিযুক্তকেই বিচারক নিযুক্ত করেছেন। এ নিয়ে কমিশন উদ্বিগ্ন। ওই বিচারকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা-ও জানতে চায় কমিশন। তার পরেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ অনু মালিককে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন বলে খবর।
আরও পডু়ন: রতন টাটার কাছ থেকে সরাসরি ফোন, সঙ্গে চাকরির প্রস্তাব!
তবে কিছু দিন আগে অনু মালিক সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘মিথ্যে এবং প্রমাণিত নয়’। এই অভিযোগ ওঠায় তিনি ‘ব্যথিত’ বলে উল্লেখ করে বিচারের দাবিও জানিয়েছিলেন।