Anant Ambani-Radhika Merchant wedding

‘অম্বানীদের শিক্ষা দিতে হলে, এই কাজটা করুন’, অন্তরা মিত্রের পোস্টে দর্শনার সম্মতি

অম্বানী পরিবার অত্যন্ত ভালোবেসে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলে লেখেন অন্তরা। পরিবারের সকলে নাকি ব্যক্তিগত ভাবে দশ হাজার মানুষকে আপ্যায়নের চেষ্টা করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৫:৫৫
Share:

অম্বানীদের বিয়ে থেকে এসে অন্তরা মিত্রের পোস্ট। সম্মতি জানালেন দর্শনা বণিক। ছবি: সংগৃহীত।

অনন্ত অম্বানী ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে ঘিরে সরগরম নেটদুনিয়া। বিয়েতে খরচ হয়েছে ৫০০০ কোটি টাকা। এই বিষয় নিয়ে নেটাগরিকরাও তরজায় মেতেছেন। কেউ বলছেন, এত টাকা খরচ করে বিয়ের অনুষ্ঠান খুবই দৃষ্টিকটু। আবার একাংশের দাবি, এই বিয়ে থেকে অনেকে অর্থ উপার্জনও করেছেন। অভিনেত্রী দর্শনা বণিকও এই তরজায় অংশ নিলেন গায়িকা অন্তরা মিত্রের একটি পোস্ট শেয়ার করে।

Advertisement

অম্বানীদের বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিলেন অন্তরা। এই বিয়ে নিয়ে সমাজমাধ্যমের কয়েকটি তির্যক উক্তির বিরুদ্ধে তাঁর এই পোস্ট। অন্তরা লিখেছেন, “একটা বিয়েবাড়ি নিয়ে পাঁচ হাজার লেখা পড়লাম। মোটামুটি সব লেখাই ব্যঙ্গাত্মক। কী ভাবে প্রাচুর্যের প্রদর্শনী হচ্ছে ইত্যাদি নিয়ে লেখা হয়েছে। সারা ভারতের জিয়ো ব্যবহারকারীরা অনেক অভিযোগ জানালেন।”

অন্তরা জানিয়েছেন, তিনি ওই বিয়েবাড়িতে দু’দিনের জন্য ছিলেন। গায়িকা লিখেছেন, “আমি যা দেখে এলাম, সেটা জানাই। এটা সত্যি যে, এক ছাদের তলায় কয়েক হাজারের বেশি কোটিপতি মানুষ দেখে এটা জানলাম, ভারত খুব গরিব দেশ নয়। বিয়ের আসরের আয়োজন ও পরিবেশ নিয়ে বলার কিছু নেই। শুধু এটুকু বলতে পারি, ২০০ বছর আগে ভারতের কোনও রাজার বিয়ে হয়তো এই ভাবেই হত। পুরাণের দেব-দেবীদের বিবাহের বর্ণনায় যেমন আছে, দেশ দেশান্তর থেকে ঋষি-মুনিরা এলেন, রাজ-উপঢৌকন নিয়ে হাজির হলেন রাজা- মহারাজারা। তেমনই একটা সমাবেশ দেখলাম।”

Advertisement

অম্বানী পরিবার অত্যন্ত ভালোবেসে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বলে লেখেন অন্তরা। পরিবারের সকলে নাকি ব্যক্তিগত ভাবে দশ হাজার মানুষকে আপ্যায়নের চেষ্টা করেছেন। যদিও এই পোস্ট কিছু ক্ষণ পরে সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেন গায়িকা। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যে দর্শনা সেই পোস্টটি ফের সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন। অন্তরা লিখেছেন, “শোনা যাচ্ছে, মোটামুটি ১৩হাজার কোটি টাকার খরচা। এই টাকাটা কিন্তু অর্থনীতিতেই ফেরত এল। চাইলে পুরো বিয়েটা ইউরোপের কোনও পাহাড়ে করতে পারতেন তাঁরা। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে এই ১৩ হাজার কোটি টাকা উপার্জন করলেন আমাদের দেশের ফুল ব্যবসায়ী, মিষ্টি ব্যবসায়ী, চিত্রগ্রাহক, খাবার ব্যবসায়ী, নিরাপত্তা সংস্থা থেকে ছোট ছোট হাজার হাজার ব্যবসায়ী। এই সবটাই একটা ভাল দিক বলে আমার মনে হল। যাঁরা ওখানে ছিলেন, তাঁরা সবাই মোটামুটি একমত এই ব্যাপারে।”

অম্বানীদের বিয়ে নিয়ে নানা রকমের মিম ও ট্রোল হচ্ছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। নিন্দকদের উদ্দেশে অন্তরা লিখেছেন, “অম্বানীরা রক্ষণশীল পরিবার। পয়সা তো ওঁদের আছেই, কারণ ওঁরা তার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। যেটা মোটের উপর বলার সেটা হল, হিংসে কোরো না, চেষ্টা করো। কে নিজের বিয়েতে শাহরুখ খানকে ডাকবেন এবং তিনি নাচবেন না গাইবেন, সেটা কিন্তু তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

নিন্দকদের জিয়ো পরিষেবা ছেড়ে দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, “আপনার ভাল না লাগলে দেখবেন না। ছেড়ে দেওয়ার উপায় তো আছে। জিয়ো ছাড়া আরও অনেক পরিষেবা রয়েছে। জিয়ো ছেড়ে যদি আপনার মনে হয় যে, অম্বানীদের একটা শিক্ষা দেওয়া গেল, তা হলে তা-ই করুন। নিন্দা করে লাভ নেই। আপনার বাড়ির পাশে রাস্তা বেহাল, সেটা অম্বানীর দোষ নয়। পাড়ার নেতাকে সামনে দাঁড়িয়ে এলাকায় জল কেন জমেছে, সেটা গলা উঁচু করে জিজ্ঞেস করতে না পারলে, ইন্টারনেটে বসে অনন্ত-রাধিকার বিয়েকে গালমন্দ করে লাভ নেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement