অঙ্কুশ হাজরা।
রসিকতা আর অঙ্কুশ হাজরা প্রায় সমার্থক। যেখানে যত ভয়, যন্ত্রণা, তাচ্ছিল্য, তর্ক--- অভিনেতা সেখানেও হাস্যরস ছড়িয়ে দিতে ওস্তাদ। তাই অঙ্কুশের বক্তব্য তাঁর অনুরাগীদের কাছে ‘হটকেক’। দেখতে দেখতে ভাইরাল। এই যেমন তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মজা করে পুষ্পা রাজ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কেন?
বুঝতে গেলে দুবছর পিছিয়ে যেতে হবে। ২০২০-তে অতিমারি। তার পর আর পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেননি পরীক্ষার্থীরা। বাড়িতে বসে অনলাইনে তাঁরা পরীক্ষা দিতেন। দু’বছর পরে ২০২২-এ ফের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন সবাই। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের মনে জড়তা কাজ করছে। অনভ্যাসের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে লেখা শেষ করতে পারবেন তো? এই ভয় তো রয়েইছে। পাশাপাশি, ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে। যাতে কোনও ভাবেই পরীক্ষার্থীরা কোনও রকম সাহায্য নিয়ে পরীক্ষা দিতে না পারেন।
পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে যখন ভীত-স্বন্ত্রস্ত সবাই ঠিক তখনই অঙ্কুশের এই অভিনব পরামর্শ! পরীক্ষা দিতে দিতে কারওর পায়ের কাছে যদি কাগজের টুকরো এসে পড়ে তা হলে তিনি যেন দক্ষিণী ছবি ‘পুষ্পা রাজ’-এর নায়কের মতো ‘ঝুঁকেগা নহি’ না বলেন। বরং বুদ্ধিমানের মতোই ঝটপট সেই চিরকুটের দ্রুত সদ্ব্যবহার করেন।
রসিকতা করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই কি পরীক্ষার্থীদের নকলনবিশীর পাঠ পড়িয়ে ফেললেন অভিনেতা?