অঙ্কিতার ঘর জুড়ে শুধুই সুশান্ত।
মনের স্মৃতি যেমন টাটকা, ঘর জুড়ে এখনও শুধুই সুশান্ত সিংহ রাজপুত! ছ’বছর সম্পর্ক নেই। তবু অঙ্কিতা লোখান্ডের বাড়িতে শুধুই ‘পবিত্র রিস্তা’ অভিনেতার উপস্থিতি।
খুব সম্প্রতি, অঙ্কিতা নিজেই মায়ের সঙ্গে তোলা পুরনো একটা ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই দেখা গেছে, ‘রিস্তা’ ছিঁড়লেও সুশান্তকে সরাতে পারেননি জীবন থেকে। গোটা একটা দেওয়াল জুড়ে সুশান্তের সঙ্গে নানা মুডের ছবি। যে টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন মা-মেয়ে সেখানেও ফ্রেমে হাসিমুখে সুশান্ত-অঙ্কিতা। সেলফি বলছে, সেটা ছিল সুখের সময়।
এই ছবি দেখে নেটাগরিকেরা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, সুশান্তকে গভীর ভাবে ভালোবেসেছিলেন অঙ্কিতা। যার জন্য কাজ ছেড়ে, বাড়িতে বসে গেছিলেন। রান্না করতেন সুশান্তের পছন্দসই। সংসারের স্বপ্নে সারাক্ষণ বিভোর হয়ে থাকতেন একটা সময়ে। কিন্তু....
ছ’বছরের সম্পর্ক একটানে ছেঁড়া যায় না বলেই, সুশান্তের মৃত্যুর খবর পেয়ে ‘হোয়াট’ বলে চেঁচিয়ে উঠে ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সোশ্যালে কিচ্ছু শেয়ার করেননি। কিন্তু প্রথম প্রেমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পটনা, মুম্বইয়ে।
আরও পড়ুন- আমিরের সহ-অভিনেতা সব্জি বেচছেন মুম্বইয়ের রাস্তায়!
সুশান্তের প্রতি অঙ্কিতার এই টানের কথা সদ্য জানিয়েছেন অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সন্দীপ সিংহ। তাঁর কথায়, মুম্বইয়ের লোখণ্ডওয়ালায় একসঙ্গে থাকতেন সুশান্ত, অঙ্কিতা এবং সন্দীপ। দু’জনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। প্রতিটি পদক্ষেপে অঙ্কিতা কীভাবে সুশান্তকে আগলে রেখেছিলেন তা নিয়ে দিন কয়েক আগের ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, “যখন তোমরা আলাদা হলে, অঙ্কিতা, তখনও তুমি শুধু ওর ভালই চেয়েছো। সুশান্তের খুশি, সাফল্যতেই খুশি ছিলে তুমি। আমার মায়ের হাতের মাটন কারি সুশান্ত খেতে কী ভালবাসত। না পেলে বাচ্চাদের মতো করত। মালপোয়া? মনে আছে তোমার। আমি পারছি না অঙ্কিতা। আমি আমাদের তিনজনকে ফিরে পেতে চাই। আমি ওই সব দিনে আবার ফিরে যেতে চাই।”
সেই দিন ফিরে পাওয়া আর সম্ভব নয়। তাই কি অঙ্কিতার বাড়ির দেওয়াল জুড়ে সুশান্তের এমন গভীর উপস্থিতি? এভাবেই কি ‘পবিত্র রিস্তা’ ধরে রাখতে চেয়েছিলেন?
এরই নাম প্রেম?