এমএমএস কাণ্ডে বিপর্যস্ত অঞ্জলির ভবিষ্যত
ভাইরাল সেই এমএমএস। যেখানে ক্যামেরার সামনে শরীরী মিলনে মগ্ন দুই যুবক-যুবতীকে দেখেছে গোটা দেশ। তার পরই সর্বনাশ। যুবতীর মুখের আদল নাকি দক্ষিণী অভিনেত্রী অঞ্জলি অরোরার মতো। রটে গেল খবর। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল কুৎসা। কেরিয়ারের শুরুতেই ভাবমূর্তি চৌপট হওয়ার পালা নেটমাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয় অঞ্জলির। তাঁর পরিবারও লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছেন না।
সমানে বলে যাচ্ছেন অঞ্জলি, এমএমএসের যুবতী আর তিনি এক ব্যক্তি নন। সম্প্রতি ইউটিউবার সিদ্ধার্থ কাননের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বলেছেন,‘‘সবে ২২ বছর বয়স আমার। ছোট ভাই রয়েছে। যাঁরা আমার নামে কুৎসা রটালেন, এক বারও ভাবলেন না যে আমারও পরিবার আছে। স্রেফ মজার জন্য কারও সম্মান নিয়ে এ ভাবে খেলা যায়? এই মানুষরাই কি আমায় বিখ্যাত করেছেন? সব গুলিয়ে যাচ্ছে। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না!’’
তবে অঞ্জলির যে শত্রুর অভাব নেই, তা-ও বেশ বোঝা গেল। কঙ্গনা রানাউত-সঞ্চালিত রিয়্যালিটি শো ‘লক আপ’-এ উপস্থিতির দিয়ে খ্যাতি পেয়েছিলেন অঞ্জলি। সেই সময়ে যা অনেকেরই চোখ টাটিয়েছিল। সেখানকারই সহ-প্রতিযোগী আজমা ফাল্লাহ এ বার আগুনে ঘি ঢাললেন।
একটি ভিডিয়ো করে বার্তা দিলেন আজমা। নাম না করেই বললেন, ‘‘সবাই নিশ্চয়ই সেই বিখ্যাত ভিডিয়োটি দেখেছেন। আসলে কর্মফল পেতেই হবে। যে লক আপ-এর মধ্যে আমাদের বিবস্ত্র করে ছেড়েছিল, তাকে সবাই এখন অনাবৃত দেখছে। মনে হয় না এটাই তার উচিত শিক্ষা হয়েছে?’’এতে অবশ্য প্রতিবাদ করে ওঠেন অনেকেই। কেউ লেখেন, ‘এক জন নারী হয়ে অন্য নারীকে ছোট করবেন না!’ আর এক জন ধমকে দেন, ‘সেই ভিডিয়ো ভুয়ো ছিল, আপনি জানেন না দেখছি!’
সম্প্রতি নতুন মিউজিক ভিডিয়ো 'সইয়াঁ দিল মে আনা রে' দিয়ে আবারও খবরে আসছিলেন অঞ্জলি। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ৪২ লাখেরও বেশি ভিউ হয়েছে তাতে। ইউটিউবের ট্রেন্ডিং তালিকায় স্থান পেয়েছে গানটি। কিন্তু এমএমএস- বিতর্কের কারণে সেই উন্মাদনাও অনেকটাই বিপর্যস্ত।
ইতিমধ্যে অঞ্জলির বাবা-মা সেই এমএমএসের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। অঞ্জলি ও তাঁর ভাই সাইবার নিরাপত্তা বিভাগে গিয়েছিলেন বলেও জানান। তবে মানুষের মন থেকে এর কুপ্রভাব কবে সরবে, সে নিয়েই উদ্বেগে রয়েছেন তারকা।