(বাঁ দিকে) রবিবারের মহামিছিলে প্রতিবাদী মধুরিমা। অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলে যোগ দিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। দাবি একটাই, বিচার চাই। রবিবার বিকেলের মিছিলে যোগ দিয়েছেন নাট্যকর্মী মধুরিমা গোস্বামী, কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হাঁটেন তিনি। অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের স্ত্রী, মধুরিমা প্রথম থেকেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে। তবে প্রতিবাদ করা বা মিছিলে নামার সিদ্ধান্ত অন্য কাউকে দেখে নয়, বরং একান্তই নিজের, মহামিছিল থেকে স্পষ্ট জানালেন মধুরিমা।
কিন্তু কেন এই ঘটনা নিয়ে নীরব অনির্বাণ? কোনও মিছিলে দেখা যায়নি তাঁকে? কেন তাঁর সমাজমাধ্যমে একটিও পোস্টও নেই তাঁর এই ঘটনার প্রতিবাদে? প্রশ্ন করতেই আনন্দবাজার অনলাইনকে মধুরিমা বলেন, “আমি আসলে আমার লড়াই লড়তে নেমেছি। আমি যাঁদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছি, তাঁদের সঙ্গে মিছিলে এসেছি। তবে প্রত্যেকেরই প্রতিবাদের ভিন্ন ভাষা থাকে। আমি রাস্তায় নেমেছি বলেই সকলকে রাস্তায় নামতে হবে এমন নয়। আমি কাউকে দেখে রাস্তায় নামিনি। আমার মনে হয়েছে রাস্তায় নাম উচিত। তাই নেমেছি।”
অনির্বাণের প্রতিবাদের ভাষা সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলেও জানান। নাট্যকর্মীর কথায়, “আমি আসলে এখন এই বিষয়টার বাইরে অন্য কিছু দেখার সময়ই পাচ্ছি না।” আরজি কর ঘটনার বিচার নিয়ে মধুরিমার সাফ জবাব, “আমাদের আর আশা করার কোনও জায়গা নেই। আমরা বিচার ছিনিয়ে নেবই। তার জন্য যত দিন সময় লাগবে আমরা রাস্তায় থাকব। আমাদের সংগঠনে ভিন্ন মতের মানুষ রয়েছে। কিন্তু সকলের দাবি একটাই। আইনজীবীরাও রয়েছেন। ভবিষ্যতে আইন বদলানোর প্রয়োজনে কী করা যায়, সেটাও সকলে দেখব।”
এই মিছিলে দলীয় রাজনীতির জায়গা না থাকলেও এই মিছিল সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক বলে দাবি মধুরিমার। মিছিলের আন্দোলনকারীদেরও বিভিন্ন ভাবে কটাক্ষ করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মধুরিমা বলেন, “যাই করি, তাতেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাব।”