নিজের পরিচালনায় অভিনয় করলে সেই অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হয় না বলেই মনে করেন অভিনেতা অনির্বাণ। ছবি: ফেসবুক থেকে
উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ‘ম্যা কবেথ’ অবলম্বনে অনির্বাণ ভট্টাচার্য পরিচালিত ‘মন্দার’ সদ্যই মুক্তি পেয়েছে। পরিচালক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। কিন্তু পরিচালক এবং নির্দেশক— এই দুই সত্ত্বার মধ্যে যথেষ্ট দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ অনুষ্ঠানে জানালেন তিনি।
নিজের পরিচালনায় অভিনয় করলে সেই অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হয় না বলেই মনে করেন অভিনেতা অনির্বাণ। ‘মন্দার’ নির্মাণের অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁর মনে হয়েছে, নিজের মতো করে একটি চরিত্রকে গড়ে তোলার যে পরিসর অন্য পরিচালকেরা আগে তাঁকে দিয়ে এসেছেন, নিজে পরিচালকের ভূমিকায় থাকলে কখনওই তা দিতেন না তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি আমার পরিচালকদের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমার অভিনেতার মন যেটা, মানে যে ভাবে নিজের মধ্যে অভিনয় তৈরি করি কিংবা চরিত্রায়ন করি, তার জন্য আমার পরিচালকেরা আমায় যে স্পেস দিয়েছেন বা পরিসর বা ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছেন, আমি যদি আমার পরিচালনায় অভিনয় করতে যেতাম, ভয়ঙ্কর রেগে যেতাম নিজের উপরে।’’
পরিচালক অনির্বাণের কাছে এই প্রবণতা এক প্রকার ‘ক্রিয়েটিভ চয়েস বা কালচারাল ডমিনেশন’। কিন্তু এই বিষয়টি তাঁর মধ্যে এল কী ভাবে, তা নিজেও জানেন না অনির্বাণ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি যে ভাবে পরিচালনার শিক্ষা নিয়েছি, তার মধ্যে এটা ছিল না। আমি মূলত যাঁর কাছ থেকে পরিচালনার শিক্ষা নিয়েছি, তাঁর পরিচালনা পদ্ধতির মধ্যেও কিন্তু এটা নেই।’’ নিজেই জানিয়েছেন, অভিনেতা, নাট্যপরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ের থেকেই প্রাথমিক ভাবে তাঁর পরিচালনার পাঠ নেওয়া। তবে সিনেমায় নয়, নাটকে। শনিবারের লাইভ অনুষ্ঠানে অনির্বাণ নিজেই জানালেন সে কথা।
তবে অভিনেতাকে নিজের মতো করে চরিত্রায়ণের পরিসর না দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন অনির্বাণ। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘আমি তো আরও কাজ করব। অবশ্যই আমি নিজেকে ডেভেলপ করতে করতে যাব। হতে পারে, এখন পরিচালক হিসেবে আমি যে দিকে যাচ্ছি, ভবিষ্যতে ঠিক উল্টো দিকে চলে গেলাম। সম্পূর্ণ অন্য একটা পদ্ধতিতে কাজ করা শুরু করলাম। কাজ করা মানেই সেখানে বদলাতে বদলাতে যাওয়া।’’
ভবিষ্যতে কি সিনেমার পরিচালনা করবেন তিনি? অনির্বাণের সটান জবাব, ‘‘পরিচালনা করে আমি মজা পেয়েছি। সিনেমা পরিচালনাও করব আমি।’’