কটাক্ষ অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের।
মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক বাতিল। তাই নিয়ে নানা জনের নানা মত। তার মধ্যেই নিজের মত আবারও হোয়াটঅ্যাপ স্টেটাসে তুলে ধরলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। পর্ষদ পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা হতেই তোপ দাগলেন অভিনেতা, ‘যাক, পরীক্ষা-টরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছে। এ বার পুরভোটের দিনক্ষণ ঠিক করা যাক’। তার পরেই সূক্ষ্ম হুল ফোটালেন, 'জাতির অগ্রগতি যেন থেমে না থাকে!' নাম না করে এ ভাবে কাকে বিঁধলেন অনির্বাণ?
যথারীতি ফোনে সাড়া পাওয়া যায়নি অভিনেতার। অনেক দিনই নিজের সামাজিক পাতা অর্থাৎ ফেসবুকে আর প্রতিবাদ জানান না অনির্বাণ। বদলে বেছে নিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস। সেখানেই ভাল-মন্দ সমস্ত অনুভূতি ভাগ করে নেন। যা দেখতে পান মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি। সোমবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অতিমারির মধ্যে পরীক্ষা না হওয়াটাই শিক্ষার্থীদের পক্ষে নিরাপদ। তিনি বলেন, রাজ্যবাসীদের একটা বড় অংশ পরীক্ষা স্থগিত রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। তার পরেই এই কটাক্ষ অনির্বাণের।
অনির্বাণের পোস্ট
অতিমারি থেকে নির্বাচন-- নানা কারণে দেশীয়, রাজ্য রাজনীতি বার বার উত্তপ্ত হয়েছে। অনির্বাণ কখনও কোনও মন্তব্য করেননি। এই প্রথম তিনি এ ভাবে সোচ্চার। তাঁর মতোই পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় পুরস্কারজয়ী সুরকার-শিল্পী অনুপম রায়। গত বছর থেকে অতিমারির কারণে একাধিক পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। প্রস্তুতির পরে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা হলে স্বাভাবিক ভাবেই মানসিক চাপের শিকার হন বহু শিক্ষার্থী। এই প্রেক্ষিতে অনুপম তাঁদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘যে সব ছাত্ররা এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে বোর্ড কিংবা এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছ আর তা হয় পিছিয়ে যাচ্ছে কিংবা বাতিল হচ্ছে তাদের বলতে চাই, ভেঙে পড় না’। পাশাপাশি, অনুপম আনন্দবাজার ডিজিটালকে অতিমারির মধ্যে ৮ দফা ভোট নিয়েও স্পষ্ট ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
অনুপমের মতো সেই ক্ষোভই কি এ বার প্রশাসনের বিরুদ্ধে উগরে দিলেন অনির্বাণ?