অনিন্দ্য সেনগুপ্ত
জুনে মুক্তি পেয়েছে ‘X=প্রেম’। তার পরেই চারপাশটা কি খুব বদলে গিয়েছে? নইলে এত হতাশ কেন সাংবাদিক-অভিনেতা অনিন্দ্য সেনগুপ্ত! আনন্দবাজার অনলাইনকে নিজে জানিয়েছেন, ‘‘জীবনটাই যেন এখন খোলামকুচি হয়ে গিয়েছে। বড্ড সস্তা!’’ আর রা কাড়েননি তিনি। এ দিকে টেলিপাড়া বলছে, তিনি নাকি আবার প্রেমে পড়েছেন! যত গণ্ডগোল কি সেখানেই?
অভিনেতার হয়ে মুখ খুলেছেন পরিচালক-অভিনেতা সৌরভ পালোধি। জুলাইয়ের মাঝামাঝি উরিবাবা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ওয়েব সিরিজ ‘খোলামকুচি’। তাঁর কথায়, ‘‘একা অনিন্দ্য নয়, সিরিজ দেখে দর্শকেরাও এটাই উপলব্ধি করবেন।’’ এ-ও জানিয়েছেন, শহরতলির গল্পে এই সিরিজেও অনিন্দ্য দুর্দান্ত প্রেমিক। যদিও অভিনেতার সংযোজন, ‘‘এই প্রেম সৃজিতদার প্রেমের মতো সাদা-কালো নয়।’’
খোলামকুচি অর্থাৎ মাটির ঢেলা। শিক্ষা, রাজনীতি, ধর্ম সব মিলেমিশে মানব জীবনকে কি এতটাই সহজ করে দিয়েছে? তাই এই সিরিজ তৈরির তাগিদ? পরিচালকের মতে, তিনি রোজের জীবনে যা দেখেন তাকেই পর্দায় তুলে ধরতে ভালবাসেন। সেটা ‘কলকাতায় কলম্বাস’ হোক বা ‘বিবাহজ ডায়েরি’। এ বারেও নিজেকে বদলাননি। এই মুহূর্তে যা যা দেখছেন হুবহু উঠে আসবে সিরিজে, ব্যঙ্গের আকারে। এই প্রজন্মের গল্প। তাই এই প্রজন্মের নব্য অভিনেতা? সৌরভের কথায়, ‘‘সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে অভিনয়ের আগেই আমার সিরিজে কাজ করেছে অনিন্দ্য। মঞ্চসূত্রে আমরা ভাল বন্ধু। মনে হয়েছিল, অনিন্দ্য চরিত্রটি ভাল ফোটাতে পারবে।’’
অনিন্দ্যর বিপরীতে শ্রেয়া ভট্টাচার্য। রয়েছেন আরও বাঘা বাঘা অভিনেতাও। ২ জুলাই সিরিজের ট্রেলার মুক্তি পাচ্ছে। তার আগে তাঁদের নাম বলবেন না সৌরভ। সিরিজে দেবদীপের সুরে বেশ কয়েকটি গানও রয়েছে। একটি গেয়েছেন তোরিসি। মফস্সলের গল্প। তাই পরিচালক ১৫ দিনে পুরোটাই ক্যামেরাবন্দি করেছেন ফরাক্কায়।