ব্র্যাড পিট এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ছবি: রয়টার্স।
জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুললেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি জানালেন, অভিনেতা ও স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে এবং পরবর্তী বেশ কিছু দিন তাঁকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। ব্র্যাডের সঙ্গে বিচ্ছেদের ছ’মাস আগে ‘বেলস পলসি’তে আক্রান্ত হওয়ার কথাও এক সাক্ষাৎকারে জানালেন অভিনেত্রী।
অপেরা গায়িকা মারিয়া কালাসের জীবনীচিত্রে অভিনয় করছেন অ্যাঞ্জেলিনা। সেই সূত্রে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ম্যাগাজ়িনকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেখানে অ্যাঞ্জেলিনা বলেন, “আমার শরীর বেশি চাপ সহ্য করতে পারে না। রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে শুরু করে। ব্র্যাডের সঙ্গে বিচ্ছেদের ছ’মাস আগেই আমি ‘বেল’স পলসি’(মুখের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়া)-তে আক্রান্ত হই।” তিনি আরও বলেন, “এখন অভিনয় জীবন শুরু করলে কোনও দিনই অভিনেত্রী হতে পারতাম না। কেরিয়ারের শুরুতে বুঝতে পারিনি, নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সকলকে এত কিছু জানাতে হবে। কোনও ধারণাই ছিল না।”
সাক্ষাৎকারে অ্যাঞ্জেলিনা আরও জানান, লস অ্যাঞ্জেলসে থাকলে ক্রমাগত পাপারাৎজ়িদের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তা আরও বেড়ে গিয়েছে। অ্যাঞ্জেলিনা বলেন, “বিচ্ছেদের পর জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। স্বাধীন ভাবে ঘোরাফেরা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” এর পরেই হলিউড ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানান তিনি। কম্বোডিয়ায় নিজের বাড়িতে আরও সময় কাটাতে চান জোলি।
অ্যাঞ্জেলিনা ১৯৮২ সালে ‘লুকিন’ টু গেট আউট’-এ বাবা জন ভয়টের সঙ্গে শিশুশিল্পী রূপে পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। ‘গার্ল’, ‘ইন্টারাপ্টেড’, ‘লারা ক্রফ্ট: টম্ব রেইডার’, ‘সল্ট’, ‘ম্যালেফিসেন্ট’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
২০০৪ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন জোলি এবং ব্র্যাডের আলাপ হয়। প্রায় ১০ বছর প্রেম করে ২০১৪ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দু’বছর সংসার করার পর ২০১৬ সালে আইনি ভাবে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। ব্র্যাড এবং অ্যাঞ্জেলিনার বিবাহবিচ্ছেদের পরে তাঁদের ছয় সন্তানের ম্যাডক্স, প্যাক্স, জাহারা, শিলো, এবং যমজ নক্স লিওন এবং ভিভিয়েন মার্চেলিনের হেফাজত নিয়ে দু’জনে একটি দীর্ঘ আইনি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। শেষমেশ সন্তানদের নিজের কাছে পান অ্যাঞ্জেলিনা।