প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে এখন হলিউডে রাজ তাঁর। বলিউডে থাকাকালীন পুরুষপ্রধান বিনোদন জগতে নিজের পরিশ্রম ও মেধার জোরে ‘তারকা’ তকমা অর্জন করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তার পরেও নাকি একাধিক বার নিজের গায়ের রঙের জন্য কথা শুনতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। তিনি মোটেই ‘নায়িকাসুলভ’ নন, এমন কথাও নাকি শুনেছেন প্রিয়ঙ্কা। সৌন্দর্যের নিরিখে সেরার খেতাব অর্জন করার পরে বলিউডে পা রাখার আগেই নিজের মুখে কারসাজি করিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। কার কথায় সার্জারির সিদ্ধান্ত নেন প্রিয়ঙ্কা, জানেন?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘অন্দাজ়’ ছবির প্রযোজক সুনীল দর্শন জানান, প্রিয়ঙ্কাকে নাকি তাঁর নাক ‘ঠিক’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। সুনীলের কথায়, ‘‘আমি ‘অন্দাজ়’ ছবির জন্য নতুন কাউকে চাইছিলাম। তখনই আমি প্রিয়ঙ্কার কথা শুনি, তাঁর সঙ্গে দেখাও করি। প্রিয়ঙ্কাকে দেখে প্রথম ঝলকে আমার মনে হয়েছিল, গতে বাঁধা আর পাঁচ জন সুন্দরীর মতো নন তিনি। তবে সেই সাক্ষাতের ১৫ মিনিটের মধ্যেই আমি নিশ্চিত জানতাম যে, তাঁকেই আমি আমার ছবিতে নেব। প্রিয়ঙ্কার চোখ, ওর গলার আওয়াজ, আর সফল হওয়ার যে খিদে... আমি জানতাম ও উপরে উঠবে। আমি তখনই ওকে সরাসরি বলি, নাক ঠিক করে নিতে। প্রিয়ঙ্কার বাবা নিজে এক জন চিকিৎসক। প্রিয়ঙ্কা রাজিও হয়ে যায়।’’
অসুখের কারণে নাকি নাকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল, একাধিক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন প্রিয়ঙ্কা। তবে ‘গদর ২’ ছবির পরিচালক অনিল শর্মা তাঁর এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, হলিউডের এক নামজাদা তারকার মতো সৌন্দর্য পেতেই নাকি নাকে ছুরি-কাঁচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ২০০১ সালে ‘গদর’ ছবির পরে ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল অনিলের পরিচালিত ছবি ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ আ স্পাই’। ওই ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমেই বলিউডে নায়িকা হিসাবে হাতেখড়ি হয় প্রিয়ঙ্কার। পরিচালক জানান, ‘গদর’-এর সাফল্যের পর বিদেশ থেকে ঘুরে এসে তিনি জানতে পারেন, প্রিয়ঙ্কা নাকি নিজের নাকে কারসাজি করিয়ে ফেলেছেন। এ দিকে, নাকে কারসাজির পরে নাকি ক্যামেরার সামনে আসার কথা ভেবেই ঘাবড়ে যাচ্ছিলেন নায়িকা। তখন অনিল নাকি এক রূপসজ্জা শিল্পীর সাহায্য নেন। ওই রূপসজ্জা শিল্পী সহায়তা করার পরেই নাকি ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ আ স্পাই’ ছবিতে কাজ করার জন্য আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
যদিও প্রিয়ঙ্কা একাধিক বার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, তাঁর অসুখের কারণে নাকি তাঁকে নাকের অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল। চলতি বছরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো নাসাগহ্বর থেকে পলিপ সরানোর জন্য একটি অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল তাঁকে। তার পরে নাকি চোখমুখের পরিবর্তন হতে শুরু করে। এমনকি, একের পর এক ছবি হাতছাড়া হয় তাঁর। কর্মজীবনের গোড়ার দিকে অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অবশেষে আরও একটি অস্ত্রোপচার করানোর পরে সমস্যার সমাধান হয়।