মাথা নোয়াতে নারাজ অভিনেতা। — ফাইল চিত্র।
সত্তরের দশকের বিপুল জনপ্রিয় অভিনেতা অমল পালেকর। ‘ছোটি সি বাত’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘চিতচোর’-এর মতো ছবিতে দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছেন তিনি। তবে, কেরিয়ারের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয় অমলকে। প্রথম ছবির কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও ছবি থেকে বাদ পড়তে হয় তাঁকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই কাহিনি শোনালেন অভিনেতা। ১৯৭২ সালে ‘পিয়া কা ঘর’ ছবিতে পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায় তাঁকে মুখ্য চরিত্রে নির্বাচন করেন। ছবিতে ছিলেন জয়া বচ্চনও।
কিন্তু অমল ‘দুর্বিনীত’, শুধুমাত্র এই অভিযোগে ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। প্রস্তাব পেয়ে পরিচালককে সঙ্গে সঙ্গেই সম্মতি জানিয়েছিলেন অমল। ছবির প্রযোজক ছিল ‘রাজশ্রী প্রোডাকশনস’, যার দায়িত্বে তখন ছিলেন তারাচাঁদ বরজাতিয়া। অমল বলেন, “খানিক ক্ষণ কথাবার্তা চলার পরে বাসুদা আমায় তারাচাঁদ বরজাতিয়ার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। আমি জানতে চাই কেন দেখা করব। তাঁর দাবি ছিল, যে হেতু ‘রাজশ্রী প্রোডাকশনস’-এর প্রযোজনায় ছবি হচ্ছে, তাই আমার প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করা উচিত। আমি বললাম, ‘না, আমি যাব না।’ পরিচালক অবাক হয়ে জানতে চাইলেন কেন যাব না। আমার স্পষ্ট জবাব ছিল, আপনিই(পরিচালক) যখন আমাকে ছবির জন্য নির্বাচন করেছেন, যখন ভরসা আছে আমার উপর, তা হলে আপনারই উচিত আমায় নিয়ে গিয়ে সম্মানজনক ভাবে প্রযোজকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।” অমলের দাবি ছিল, পরিচালকের সঙ্গে সব কথাবার্তা হয়ে যাওয়ার পর লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
শুনে পরিচালক হকচকিয়ে যান। বাসু বলেন, “কেরিয়ার শুরুই হল না, এখনই তুমি এত উদ্ধত!” অমল জানান, তিনি এ রকমই। তাঁর কথায়, “স্বাভাবিক কারণেই শেষ অবধি ছবিটা আমি করতে পারিনি, অনিল ধওয়ানকে নেওয়া হয় ‘পিয়া কা ঘর’-এ।”
যদিও অমলের সঙ্গে পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। পরে বাসুর পরিচালনায় তিনি একাধিক ছবি করেন। প্রতিটি ছবিই জনপ্রিয় হয়। এর মধ্যে ‘চিতচোর’-এর প্রযোজক ছিল রাজশ্রী প্রোডাকশনস-ই।