শ্যুটিংয়ে অভিনেতা বিশ্বনাথ। নিজস্ব চিত্র
ক’দিন আগেই মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার মিলেছিল। বেড়াতে এসে স্কোয়াড সদস্যদের মুখোমুখি হয়েছেন এক যুবক, এমন অভিযোগে তো শোরগোল পড়েছিল। ছুটে এসেছিলেন খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি।
সেই বেলপাহাড়িতেই ভয় উড়িয়ে খাঁদারানি ঝিলের ধারে প্রাণের সুখে বন-মোরগের ঝোল-ভাত খেলেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। শনিবার দুপুরে কব্জি ডুবিয়ে তাঁর সেই খাওয়ার দৃশ্যগ্রহণ করা হল একটি ট্র্যাভেল-ফুড শো-র জন্য। একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রযোজনায় ওই ফুড শোয়ের সঞ্চালক হলেন বিশ্বনাথ। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের বেড়ানোর জায়গাগুলির বিখ্যাত সব খাবার নিয়ে মহালয়ার দিন থেকে ইউটিউবে শুরু হচ্ছে ওই ফুড শো।
করোনা আবহে কিছুদিন আগেই স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন বিশ্বনাথ। তিনি বলছিলেন, ‘‘আগেও বেশ কয়েকবার ঝাড়গ্রামে এসেছি। এখানকার জঙ্গল-প্রকৃতি আমাকে টানে। তাই ফুড শো-র একটি পর্ব বরাদ্দ করেছি ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য।’’ সম্প্রতি বেলপাহাড়ির কিছু ঘটনায় নানা মহলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তাই সেখানে শ্যুটিং করা যাবে কি না, তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন ওই শ্যুটিং ইউনিটের লোকজন। বিশ্বনাথদের ঝাড়গ্রামে শ্যুটিংয়ের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সত্যজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বেলপাহাড়িতে এ দিন দিনভর শ্যুটিং হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি।’’
পর্যটন দফতর স্বীকৃত ‘ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম’ সংস্থার কর্তা সুমিত দত্ত বলেন, ‘‘এ দিন বেলপাহাড়ির ঘাগরা, গাডরাসিনি পাহাড় ও খাঁদারানি ঝিল চত্বরে শ্যুটিং হয়েছে। এর ফলে আরও অনেকে বেড়াতে আসায় আগ্রহী হবেন বলে আমরা আশাবাদী।’’ বিশ্বনাথ জানাচ্ছেন, ‘মাসিমা মালপোয়া খামু’ নামের এই শো-য়ের আপাতত ১৩টি এপিসোডের শ্যুটিং করছেন তিনি। বিশ্বনাথের কথায়, ‘‘২৩টি জেলার দর্শনীয় জায়গার ৫২টি খাবার দেখানো হবে। ঝাড়গ্রামকে ভালবেসে ফেলেছি। তাই বেলপাহাড়িতে একটি এপিসোডের শ্যুটিং করলাম।’’ বিশ্বনাথ জানালেন, এরপরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ক্ষীরপাইয়ের বাবরশা মিষ্টি, পূর্ব মেদিনীপুরের গয়নাবড়ি নিয়েও দু’টি এপিসোডের শ্যুটিং হবে।