মনের মানুষকে খুঁজে পেলেন অমিশা। ছবি: সংগৃহীত।
কেরিয়ারের শুরুতে চূড়ান্ত সফল হওয়ার পরেও এক সময় প্রচারের আলো থেকে দূরে সরে যান এই অভিনেত্রী। বলিউড তারকারা অনেক সময়ই প্রথাগত পড়াশোনা ছেড়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন। অমিশা পটেল ব্যতিক্রম। বলিউডে আসার আগে অমিশা তাঁর শিক্ষা সম্পূর্ণ করেছিলেন। আবার ঠিক এই কারণেই জন্য কেরিয়ারের শুরু থেকে তাঁকে বিশেষ একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে বার বার। সম্পতি একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গ ফের উত্থাপন করেছেন অভিনেত্রী। ‘কহো না প্যার হ্যায়’ খ্যাত অভিনেত্রী বলেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পর সাংবাদিকদের তরফে একটাই প্রশ্ন আসত, ‘আপনার কি নিজেকে এখানে বেমানান মনে হয় না?’’ দীর্ঘ দু’দশক পার করে দিয়েছেন বলিউডে। কেরিয়ারের শুরুতেই জনপ্রিয়তা পেলেও মাঝে চূড়ান্ত ব্যর্থতা দেখছেন অনেক। এই মুহূর্তে পঞ্চাশের কোঠায় তিনি। এ বার কি জীবনসঙ্গী পেলেন অভিনেত্রী?
অমিশা প্রথমে আমেরিকার বস্টনে বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তা শেষ না করে বদলে ফেলেন বিষয়। স্নাতক হন অর্থনীতিতে। পড়াশোনার শেষে বিদেশে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু দেশে ফিরে তিনি জুড়ে যান নাট্যাভিনয়ের সঙ্গে। শুরু হয় অভিনেত্রী হয়ে ওঠার প্রস্তুতি। একের পর এক ছবিও করেছেন একটা সময়ে। সাফল্য এসেছে। আবার ব্যর্থতাও এসেছে বার বার। মাঝে এক বার আর্থিক প্রতারণায় নামও জড়ায় তাঁর। কিন্তু এত বছর বলিউডে থাকলেও কোনও দিন কোনও নায়কের সঙ্গে নাম জড়ায়নি তাঁর। এ বার তাঁকে দেখা গেল দুবাইয়ে শিল্পপতি নির্বাণ বিড়লার সঙ্গে।
নির্বাণ বিড়লার বাহুডোরে অমিশা পটেল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
অমিশাকে বাহুডোরে আগলে রেখেছেন নির্বাণ। ছবিটি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘আমার ডার্লিংয়ের সঙ্গে সুন্দর একটা সন্ধ্যা।’’ পাল্টা নির্বাণও লেখেন ‘ডার্লিং’। তাতেই যেন শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তবে কি সম্পর্কে সিলমোহর দিলেন দু’জনে! যদিও নির্বাণ ও অমিশার বয়সের পার্থক্য অনেকটাই। অভিনেত্রীর বয়স যেখানে ৪৯, নির্বাণ মাত্র ৩০। নেটাগরিকরা ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছাবার্তা দিতে শুরু করেছেন। কিন্তু অমিশা এই প্রসঙ্গে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেননি।