দাদা বলিউডের তারকা। খানত্রয়ীকে তিনি জোরদার টক্কর দেন বক্স অফিসে। নায়কোচিত ভূমিকার সঙ্গে তিনি সফল কমেডি থেকে সামাজিক বার্তামূলক ছবিতেও। দাদা যতটাই আলোকবৃত্তে, বোন ততটাই প্রচার থেকে দূরে।
দাদার সঙ্গে বোনের সম্পর্ক ব্যাহত হয়েছিল একবার। যখন বোন বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তাঁর থেকে বয়সে পনেরো বছরের বড় এক ডিভোর্সি ব্যক্তিকে। প্রথমে মত না দিলেও পরে বোন অলকার ইচ্ছেকে মেনে নেন দাদা, অক্ষয়কুমার।
আদতে পঞ্জাবের হলেও অক্ষয়-অলকার বড় হওয়া মুম্বইয়ে। তার আগে তাঁদের বাবা-মা থাকতেন অমৃতসর ও দিল্লিতে। অলকার জন্মের কিছু দিন পরে তাঁরা চলে আসেন মুম্বইয়ের কোলিওয়াড়ায়।
অলকার কাছে তাঁর দাদা অক্ষয় সব সময়ই ফাদার-ফিগার। প্রতি বছর রাখি পূর্ণিমায় দাদার হাতে রাখি পরিয়ে দেন বোন, অলকা।
কিন্তু সেই সম্পর্ক ধাক্কা খায় অলকার বিয়ের সিদ্ধান্তে। পারিবারিক অশান্তির জেরে প্রচারবিমুখ অলকা ট্যাবলয়েডের খবরে জায়গা পান।
২০১২ সালে বিয়ে করবেন বলে পরিবারে জানান অলকা। কিন্তু পাত্রের পরিচয়েই বাধ সাধল পরিবার। প্রেমিক সুরেন্দ্র হিরনন্দানি ছিলেন অলকার থেকে ১৫ বছরের বড়।
সুরেন্দ্র রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রীতির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০০৯ সালে। তার তিন বছর পরে অলকার সঙ্গে বিয়ে সুরেন্দ্রর।
প্রথম বিয়ে থেকে তিন সন্তানের বাবা সুরেন্দ্র হিরনন্দানি। দুই মেয়ে নেহা ও কোমল এবং ছেলে হর্ষ। তিন সন্তানের বাবা, একজন ডিভোর্সির সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি ছিল না ভাটিয়া পরিবার।
তখন সুরেন্দ্র ছিলেন ৫৫ বছর বয়সী এবং অলকার বয়স ৪০ বছর। তবে শেষ অবধি অলকার ইচ্ছে জয়ী হয়। সুরেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর বিয়ে মেনে নেন দাদা অক্ষয়কুমার ও ভাটিয়া পারিবার।
জমকালো অনুষ্ঠানে বিয়ে হয় সুরেন্দ্র-অলকার। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বোনের বিয়ে দেন অক্ষয়। সাত বছরের দাম্পত্যে সুখেই আছেন দম্পতি। বিয়ের পরে ছবিও প্রযোজনা করেছেন অলকা।