আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
সাজপোশাক, রূপের ছটা, বাইরে থেকে দেখতে ভাল লাগলেও বিড়ম্বনা কম নয়। তারকাদের জীবনে সবটাই যে সুখের, কষ্টের লেশ নেই, তেমনটা নয়। এই মুহূর্তে একের পর এক আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আলিয়া ভট্ট। মেট গালার মঞ্চ থেকে প্যারিস ফ্যাশন উইক সব জায়গায় নজর কাড়ছেন তিনি। যদিও নিজেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিষ্ঠা করার জ্বালা কম নয়। চলতি বছর মেট গালায় পোশাক শিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের যে ২৩ ফুট লম্বা শাড়ি পরে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমে, তার জন্য ছয় ঘণ্টা শৌচকর্ম করতে পারেননি আলিয়া।
প্রতি বছর মে মাসের প্রথম সোমবার নিউ ইয়র্কের ‘মেট্রোপলিটন মিউজ়িয়াম অফ আর্ট’-এ বসে ‘মেট গালা’র আসর। উপস্থিত থাকেন হলিউড এবং বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতারা। তাঁদের রূপের আলোয় ঝলমলে হয়ে ওঠে এই সমারোহ। এখানে বিভিন্ন সংস্থার হয়ে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তারকারা নিজেদের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তুলে ধরেন। প্রথা ভেঙে নতুন কিছু করে দেখানোই এখানে দস্তুর। মেট গালার এ বারের থিম ছিল ‘দ্য গার্ডেন অফ টাইম’। সেটা মাথায় রেখেই নিজেকে সাজিয়েছিলেন আলিয়া। প্যাস্টেল সবুজ রঙের নেটের শাড়িটি ছিল সম্পূর্ণ হাতেবোনা। গোটা শাড়ি জুড়ে সাদা আর গোলাপি ফুলের কারুকার্য। সিল্ক ফ্লস, পুঁতির টাসেল, গ্লাস বিড দিয়ে তৈরি। শাড়ির লম্বা আঁচল লুটিয়ে আছে গালিচা জুড়ে। আঁচলেও চোখধাঁধানো এমব্রয়ডারি, প্রায় ২৩ ফুট লম্বা। আলিয়ার এই শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ১৯৫৬ ঘণ্টা। সম্প্রতি ‘কপিল শর্মা’র শোয়ে এসে আলিয়া মেট গালার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন সকলের সঙ্গে। পাশাপাশি শোয়ের বিচারক অর্চনা পূরণ সিংহ কৌতূহল প্রকাশ করেন অভিনেত্রীর ২৩ ফুট লম্বা শাড়ি নিয়ে। তখনই আলিয়া বলেন, ‘‘বললে হয়তো বিশ্বাস করবেন না এই শাড়িটা পরে প্রায় ছয় ঘণ্টা শৌচালয়ে যেতে পারিনি। চেপে রাখতে হয়েছিল।’’ বোঝাই যাচ্ছে নায়িকা হওয়া যে মুখে কথা নয় টের পাচ্ছেন আলিয়া।