আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবি থেকে অভিনয়ের সফর শুরু আলিয়া ভট্টের। তার পরে বয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়। কালের নিয়মে বদল এসেছে আলিয়ার চেহারাতেও। এখন হলিউডেও তাঁর বিচরণ। কিছু দিন আগেই প্যারিসে একটি ফ্যাশন শোয়ের অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট পোশাকে হাঁটার জন্য নিমেষে কমিয়েছেন ১০ কেজি ওজন। আবার কখনও চরিত্রের জন্য সামান্য ওজন বাড়িয়েছেন। অভিনেতাদের জীবনে এ কোনও বিরল ঘটনা নয়। কিন্তু চেহারার পরিবর্তনের জন্যই বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন আলিয়া।
কখনও বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি গালের অতিরিক্ত চর্বি বাদ দিয়েছেন। কখনও বলা হয়েছে, নাকে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। এমনকি এ-ও বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে তিনি আংশিক ভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছেন। তাই নাকি কথা বলার সময়ে আলিয়ার মুখ এক দিকে বেঁকে যায়। অবশেষে এই সব দাবির বিরুদ্ধে ফেটে পড়লেন আলিয়া। কড়া ভাষায় সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ পোস্ট লিখলেন অভিনেত্রী।
আলিয়া লিখেছেন, “যাঁরা চেহারায় অস্ত্রোপচার করিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমার কোনও মতামত নেই। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত অভিরুচি। কিন্তু এটা কী হচ্ছে! সমাজমাধ্যমের কিছু ভিডিয়োয় দাবি করা হচ্ছে, অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে নাকি আমার মুখ বেঁকে গিয়েছে, আমার হাসিতে পরিবর্তন এসেছে। আমার কথা বলার ধরনও নাকি অদ্ভুত। একটা মানুষের মুখ নিয়ে আপনাদের মনগড়া মতামত এই সব! এই ধরনের মন্তব্যের নেপথ্যে আপনারা আবার বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিচ্ছেন! আমার মুখের একটা দিক নাকি পক্ষাঘাতগ্রস্ত। আপনারা কি মশকরা করছেন?”
এখানেই শেষ নয়। আলিয়া আরও লেখেন, “এই দাবিগুলি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার কোনও প্রমাণ নেই। যুক্তি নেই। তার চেয়েও খারাপ হল, অল্পবয়সি ছেলেমেয়েদের এই সব আবর্জনার মতো মিথ্যে তথ্য জানান দিয়ে আপনারা প্রভাবিত করছেন। আপনারা এগুলো কি জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য বলছেন? সব দাবি ভিত্তিহীন।”
মহিলাদের চেহারা নিয়ে প্রায়ই কাটাছেঁড়া চলে সমাজমাধ্যমে। এই নিয়ে আলিয়ার মন্তব্য, “মহিলাদের মুখ, মহিলাদের শরীর, মহিলাদের ব্যক্তিগত জীবন, এমনকি মহিলাদের স্ফীতোদর নিয়ে নানা মানুষের নানা মন্তব্য সমাজমাধ্যমে। চলুন, আমরা সকলে একটা মিনিটের জন্য অন্তত বিষয়টির প্রতিবাদ জানাই। এই ধরনের মন্তব্য মানুষের মধ্যে হীনম্মন্যতা তৈরি করে। আরও দুঃখের বিষয় হল, কিছু মন্তব্য মহিলারাই করে থাকেন।”
আলিয়ার বক্তব্য, প্রত্যেকের নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা রয়েছে। অভিনেত্রী সাধারণত সমাজমাধ্যমের ট্রোলিং নিয়ে তেমন মন্তব্য করেন না। কিন্তু এ বার আর তিনি নীরব থাকলেন না।