এই প্রজন্মের বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি এখন সবচেয়ে ব্যস্ত।
সম্প্রতি শাহরুখ খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। একান্ন-র বলিউড বাদশার সঙ্গে তাঁর অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রি নজর কেড়েছে। তাই বছর ২৩-এর আলিয়া ভট্টকে আর বোধহয় ‘উঠতি নায়িকা’ বলা যায় না। তাই আলিয়ার ইদানীং ব্যস্ততা যে বেশ বেড়েছে তা আন্দাজ করা মোটেই কঠিন কাজ নয়। সে কারণেই তাঁর সঙ্গে এখন দেখা করাটাও যে আর আগের মতো সহজ নয় সেটা আজকাল বুঝে গিয়েছেন বি-টাউনের অনেকেই। কিন্তু তাই বলে নিজের দাদার সঙ্গেও দেখা করতে পারবেন না! ‘বাড়াবাড়ি’ মনে হলেও এখন পরিস্থিতিটা নাকি এমনই। আলিয়ার দাদা রাহুল ভট্টকে উদ্ধৃত করে সম্প্রতি বি-টাউনের একটি মিডিয়া রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
বলিউডের নামী পরিচালক, প্রযোজক মহেশ ভট্টর ছেলে রাহুল অভিনেতা হিসেবে বড় পর্দায় ধরা না দিলেও তিনিও বলিউডের একজন নামী ফিটনেস ট্রেনার। সম্প্রতি ‘দঙ্গল’ ছবিতে তিনি আমির খানের ফিটনেস ট্রেনারের দায়িত্বে ছিলেন। প্রায় ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে আগের মতো ছিপছিপে সুঠাম চেহারায় ফিরতে পারার কৃতিত্ব আমির অনেকটা রাহুলকে দিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে নিজের ক্ষেত্রে যথেষ্টই সফল তিনি। ওই মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে রাহুল বলেছেন, “আলিয়া এখন বড় স্টার, দেখা হওয়ার সুযোগ কোথায়! শুধুমাত্র বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলোতেই আমাদের দেখা হয়। যেমন, বাবার জন্মদিন, রাখী, দিওয়ালিতে আমাদের দেখা হয়। আমি ওর এই সাফল্যে খুশি।”
সম্প্রতি দেশের বিনোদন দুনিয়ার আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে ‘ডিয়ার জিন্দেগি’। শাহরুখের সঙ্গে তাঁর অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রিতে মুগ্ধ বলিউডের ফিল্ম সমালোচক থেকে লক্ষ লক্ষ আম জনতা। গোটা দেশ যখন আলিয়ার প্রশংসায় মঞ্চমুখ তখন এই ছবি নিয়ে কী বলছেন তাঁর দাদা! “আমার এখনও ‘ডিয়ার জিন্দেগি’ দেখা হয়নি। আমি মোটেই হিন্দি ফিল্মের অনুরাগী নই। হিন্দি ফিল্মের সঙ্গে আমার যোগাযোগ তেমন একটা নেই”—জানিয়েছেন রাহুল। আর আমিরের সঙ্গে ‘দঙ্গল’-এ কাজের অভিজ্ঞতা কেমন! তাঁর কথায়, ‘‘আমিরের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বেশ তৃপ্তিদায়ক। ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’’
আরও পড়ুন: কঙ্গনাকে লোকে অপমান করত, কেন জানেন?