বাবার সঙ্গে নাইসা।
কখনও মেকআপ নিয়ে, কখনও লুকস নিয়ে আবার কখনও বা দাদুর মৃত্যুর পরের দিন পার্লার যাওয়া নিয়ে ট্রোলিং কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না অজয় দেবগণ এবং কাজলের মেয়ে নাইসা দেবগণের।
গত ২৭মে ৮৫ বছর বয়সে প্রয়াত হন অজয় দেবগণের বাবা বীরু দেবগণ। তাঁর মৃত্যুর পরদিনই হঠাৎই কাজল-অজয় কন্যা নাইসার পার্লারে যাওয়ার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নেট জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই সময় মুখে কুলুপ আঁটলেও কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে মেয়ের হয়ে মুখ খুলেছিলেন অজয় দেবগণ। কী বললেন তিনি?
অজয়ের সোজাসাপ্টা জবাব, “যারা এই সমস্ত ট্রোল করে থাকেন তাঁরা নিজেরাও আদপে জানেননা আসল ঘটনাটি কী। আমার বাবা যখন মারা যান, আমার দুই ছেলে মেয়েই মানসিক ভাবে ভীষণ ভেঙে পড়ে। বিশেষত নাইসা। ওর কান্না থামানোই আমাদের পক্ষে অসুবিধের হয়ে পড়ছিল। সেই অবস্থায় আমি ওদের বলি, তোমরা বরং বাইরে গিয়ে কিছু খেয়ে এস।” নাইসা যেতে চায়নি। কিছুটা জোর করেই বাড়ি থেকে বের করেন অজয়। নাইসা কোথায় যাবে, কী করবে বুঝতে না পেরে পার্লারে চলে যায়।
আরও পড়ুন-মহাভারতে দ্রৌপদী দীপিকা, কৃষ্ণ কে হতে পারে জানেন?
অজয়ের বক্তব্য, “ব্যাস। তারপরই ট্রোল শুরু। ওর মানসিক অবস্থা এমনি ভাল ছিল না। আমি নিজে ওকে জোর করে বেরোতে বলি একটু যাতে ফ্রেশ হতে পারে। কিন্তু না। পাপারাৎজি সেখানেও। সমস্ত জায়গায় বেরিয়ে গেল দাদুর মৃত্যুর পরের দিন নাইসা পার্লারে। ও বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল।”
যেখানে সেখানে যেভাবে পাপারাৎজির ভিড় ঘিরে ধরে সেলেব সন্তানদের তাতে একেবারেই খুশি নন অজয়। অজয়ের মতে, প্রত্যকের ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। শুধুমাত্র বাইরে থেকে দেখে তাকে বিচার করে তার প্রতি একটা বিরূপ মনোভাব পোষণ করা খুবই সহজ। সত্যিটা জানার ইচ্ছে আদপে কয়জনের?
আরও পড়ুন-পরিচালকের গার্লফ্রেন্ডের প্রেমে পড়েই বলিউডে প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন সলমন!