ক্যানসারকে হারিয়ে পর্দায় ফিরছেন ঐন্দ্রিলা।
আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, খুব শিগগিরি আবার অভিনয় দুনিয়ায় ফিরবেন তিনি। কথা রাখছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ক্যানসারকে হারিয়ে পর্দায় ফিরছেন তিনি। জি বাংলা অরিজিনাল ছবি ‘ভোলে বাবা পার করেগা’-তে তিনি অনির্বাণ চক্রবর্তীর মেয়ে। পর্দার বাবার সঙ্গে তাঁকে ক্যারাটে করতেও দেখা যাবে!
ছোট চুল। ঘরের পোশাকে কোমরে দোপাট্টা বাঁধা। এই সাজেই পর্দায় বাবাকে ক্যারাটেতে হারিয়ে দিতে কোমর বেঁধে নেমেছেন ঐন্দ্রিলা। প্রচার ঝলক বলছে, ছবি জুড়ে প্রজাপতির মতোই তিনি উড়ছেন! নায়িকার কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম, ছোট চুল নিয়ে সমস্যা হতে পারে। হয়তো পরচুলা পরতে হবে। পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায় আশ্বস্ত করেছিলেন, পর্দায় আমাকে আমার মতোই দেখাবেন তিনি।’’
দীর্ঘ দিন পরে ফের লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরা-অ্যাকশন! কথা ফুরনোর আগেই ফোনের ওপারে অভিনেত্রীর গলা, ‘‘এটাই চেয়েছিলাম। সমস্ত মন-প্রাণ দিয়ে। সেটাই হচ্ছে। আনন্দ যেন ধরে রাখতে পারছি না।’’ অনির্বাণের মেয়ে হয়ে ভারী খুশি ঐন্দ্রিলা। বললেন, ‘‘ছবির মতো বাস্তবেও অনির্বাণদা এত ভাল অভিনেতা। অথচ মাটির মানুষ। ওঁর সঙ্গে অভিনয় করে কী ভীষণ তৃপ্তি!’’ অনেক দিন পরে আবার নিজের চেনা দুনিয়ায়। শুরুতে একটু অস্বস্তি? অভিনেত্রীর দাবি, একেবারেই না। বরং বহু দিন পরে যেন খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিয়ে বাঁচছেন। ঐন্দ্রিলার বিপরীতে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
ন’দিনের শ্যুটে টানা ছ’দিন কাজ করেছেন। শ্যুট শেষ হয়েছে ৪ জুলাই। ডাবিং এখনও বাকি। শরীরের কথা ভেবে বাড়ি থেকে গুছিয়ে খাবার পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মা। ঐন্দ্রিলা সবার সঙ্গে সে সব ভাগ করে খেয়েছেন। বদলে তাঁর পাতে কখনও ফুচকা, কখনও কবাব! নায়িকার কথায়, ‘‘সকাল থেকে সেটে কাজ আর খাওয়া একসঙ্গে চলেছে। দারুণ উপভোগ করেছি।’’
পর্দায় তাঁর বাবা অনির্বাণ বড্ড ভালমানুষ, পরোপকারী। যার জেরে সারা ক্ষণ সংসারে কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে। পরিবারের কর্তার তবু অন্যের উপকারের নেশা কমে না! স্ত্রী-মেয়ে তিতিবিরক্ত। পাশে একমাত্র ছোট ছেলে। এই করতে গিয়েই একটা বড় ঘটনার মুখোমুখি বাড়ির সবাই। ঐন্দ্রিলার দাবি, এই ঘটনাই গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।
ছোটপর্দার অনেকেই এখন বড়পর্দাতেও নিয়মিত। ঐন্দ্রিলাও নিশ্চয়ই ছবিতে কাজের জন্য মুখিয়ে? নিমেষে জবাব, ‘‘ছোটপর্দা আমায় পরিচিতি দিয়েছে। কিন্তু বড়পর্দায় নানা স্বাদের চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ থাকে। তাই ডাক পেলে দ্বিতীয় বার ভাবব না।’’