বুধবার থেকেই সকলের উৎকণ্ঠা ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে। ছবি: সংগৃহীত
বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎই জানা যায়, আচমকা স্ট্রোক হয়ে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যায় ঐন্দ্রিলা শর্মার। এই ঘটনার পর কোমায় চলে যান অভিনেত্রী। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে উদ্বেগে ঐন্দ্রিলার অনুরাগী সহ সহকর্মীরা। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে ঐন্দ্রিলা ভর্তি রয়েছেন হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার থেকেই সকলের উৎকণ্ঠা ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতর বিশেষ কোনও উন্নতি হয়নি। এখনও আশঙ্কাজনক। এই মুহূ্র্তে ঐন্দ্রিলার রক্তচাপ রয়েছে ১১০/৭০। ও তাঁর পাল্স রেট প্রতি মিনিটে ১১২। অস্ত্রোপচারের পর নিউরো আই সি ইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে অভিনেত্রীকে।
বুধবার জানা গিয়েছিল, অভিনেত্রীর শরীরের এক দিক পুরো অসাড়। বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতে পারছেন। তা ছাড়া শুধু চোখ নড়ছে। তবে আশার কথা একটাই, ঐন্দ্রিলার বয়স কম, তাই ঝুঁকি কিছুটা হলেও কম বলে আশা চিকিৎসকদের।
সম্প্রতি ‘ভাগাড়’ ’ সিরিজ়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেও দেখা গিয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। স্টুডিয়োপাড়ার খবর, এ মাসে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। সেই কথা মতো শুটিং থেকে ছুটিও নিয়েছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে এই বিপত্তি। হাসাপাতালে ঐন্দ্রিলার পরিবার ছাড়াও রয়েছেন তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাঁর সব্যসাচীর কাছে ঘন ঘন ফোন উদ্বিগ্নদের। তিনি হাসপাতালে ব্যস্ত থাকায় ফোন ধরতে পারেননি অনেক বারই। তাতে আতঙ্ক আরও ছড়িয়েছে।
সমাজমাধ্যমে সৌরভ দাসের পোস্ট। ছবি: ফেসবুক।
ঐন্দ্রিলার বন্ধু অভিনেতা সৌরভ দাস সকলে উদ্দেশ্যে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে আর্জি জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গুজব না ছড়াতে। যথা সময়ে সব্যবাসাচী সকলকে খবর দেবেন।
টলিউ়ডে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে। তবে সকলেরই বিশ্বাস তিনি ঠিক লড়াই করে ফিনিক্স হয়ে ফিরবেন!