Aindrila Sharma Death

ঐন্দ্রিলার সঙ্গে তিক্ততা, থানাপুলিশের স্মৃতি ভুলে যেতে চাই

শুটিং ফ্লোরে রীতিমতো হাতাহাতি, বচসা। জল গড়ায় থানা পর্যন্ত। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সেই তিক্ত স্মৃতি মুছে ফেলতে চান তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর আনন্দবাজার অনলাইনে লিখলেন অভিনেতা।

Advertisement

জয় মুখোপাধ্যায়

পুণে শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ১৫:০৪
Share:

ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতে কলম ধরলেন জয়। ছবি: সংগৃহীত।

আমি এই মুহূর্তে পুণেতে আছি। এত দূরে আছি, কী বলব বুঝতে পারছি না। আমার সঙ্গে একদিন ঐন্দ্রিলার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কিন্তু তার আগের যে একশো দিন আমরা শুট করেছি, সেই কথাটা কেউ মনে রাখল না। দু’জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল ঠিকই। তা থানা পর্যন্তও গড়িয়েছিল। পরিস্থিতির জন্য একে অপরের থেকে দূরে সরে গিয়েছিলাম আমরা। তিক্ত স্মৃতিও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার পর যে আর কোনও দিন কথা হবে না, সেটা ভাবতেই পারিনি।ও কত ছোট আমার থেকে। সবে তো ২৪ বছর বয়স হয়েছিল। কত কত স্বপ্ন। ওর ছোট ছোট স্বপ্নের কথা শুটিংয়ের ফাঁকে মাঝেমাঝেই বলত আমায়। কিন্তু ওই একটা দিনের একটা ঘটনা সব সম্পর্কটাই নষ্ট করে দিয়েছিল। এই দিনে সেই স্মৃতিগুলোই ফিরে ফিরে আসছে।

Advertisement

এইটুকু বয়সে কত মনের জোর। দেখলে বেশ অবাকই হতাম। দু’জনের মধ্যে সমস্যা থাকলেও, কখনও ওর খারাপ চাইনি। আমার সঙ্গে আলাপ ‘জিয়নকাঠি’ ধারাবাহিকের সেটেই। প্রথম দিকে আড্ডা হত। ও তখন সদ্য ক্যানসার থেকে সেরে উঠেছে। অনেক রকম বিধিনিষেধের মধ্যে থাকতে হত ঐন্দ্রিলাকে। প্রচুর ওষুধ চলত। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি তো ওর চলে যাওয়ার কথা ছিল না।

শুটিং ফ্লোরে ওর সঙ্গে আমার ঝগড়ার সেই তিক্ত স্মৃতি তো মুছে ফেলতে পারব না। কিন্তু এই দিনে বড় কষ্ট হচ্ছে। ও আমার লড়াকু বন্ধু। চূড়ান্ত উৎসাহী একটা মেয়ে ছিল ঐন্দ্রিলা। এখন মনে হচ্ছে, ইস্, সেই দিনের ঘটনাটা যদি না ঘটত! যদি শহরে থাকতাম, তা হলে এখনই ছুটে চলে যেতাম। যাঁর বাবা চিকিৎসক, দিদি চিকিৎসক, মা নার্স, তাঁর এই পরিণতির কথা কি কেউ ভাবতে পারে? ও আমাদের অনু্প্রেরণা। ঐন্দ্রিলা তারকা ছিল, তারকা আছে এবং তারকাই থাকবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement