কর্মজীবনের সাফল্যের পাশাপাশি দৃষ্টান্ত হয়ে থেকে যাবে ঐন্দ্রিলার লড়াই। ‘ফাইটার’কে কুর্নিশ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফাইল চিত্র
১৯ দিনের নিরন্তর লড়াইয়ে দাঁড়ি পড়ল। মায়ের কোল শূন্য করে, সতীর্থ-সুহৃদদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ২৪ বছরের ‘ফাইটার’কে কুর্নিশ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অভিনেত্রীর অকালপ্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন, “প্রতিশ্রুতিময়ী তরুণী এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর।” মমতা আরও লেখেন, “তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি সিরিয়াল ‘ঝুমুর’, ‘মহাপীঠ’ ‘তারাপীঠ’, ‘জীবনজ্যোতি’, ‘জীবনকথা’, ‘জিয়নকাঠি’...ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে এ বছর ‘অসাধারণ প্রত্যাবর্তন’ বিভাগে টেলিসম্মান অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।”
কর্মজীবনের সাফল্যের পাশাপাশি দৃষ্টান্ত হয়ে থেকে যাবে ঐন্দ্রিলার লড়াই। দু’বার ক্যানসারজয়ী তরুণী ফিরে গিয়েছিলেন অভিনয়ে। হাসিখুশি মুখে মন জয় করে নিয়েছিলেন সবার। কিন্তু শেষ লড়াইয়ে হার হল লড়াকু মেয়েটিরও। মমতা লিখছেন, “মারণরোগের বিরুদ্ধে অদম্য মনোবল নিয়ে তিনি যে ভাবে লড়াই করেছেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তাঁর ট্রাজিক প্রয়াণ অভিনয় জগতের এক বড় ক্ষতি। আমি ঐন্দ্রিলা শর্মার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
২০ নভেম্বর, দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। গত ১ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে ঐন্দ্রিলার। কোমায় চলে যান তিনি। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। আর ফিরল না জ্ঞান। হাসপাতালেই প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী।