রোম্যান্টিক দৃশ্যে আবীর চট্টোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
গত পুজো থেকে নিজেদের বদলে ফেলেছেন নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। গত বছর ‘রক্তবীজ’ দিয়ে রহস্য-রোমাঞ্চ ছবির দুনিয়ায় তাঁদের হাতেখড়ি। ছবির সাফল্য তাঁদের প্রযোজনা সংস্থা উইন্ডোজ়কে আবারও একই ঘরানার ছবি বানাতে উৎসাহিত করেছে। এ বারের পুজোয় প্রযোজনা সংস্থার উপহার ‘বহুরূপী’। নব্বইয়ের দশকে ঘটে যাওয়া দুর্ধর্ষ ব্যাঙ্ক ডাকাতি এবং তার ‘মাস্টার মাইন্ড’ ছবির কেন্দ্রে। তাকে ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতা। এই নিয়ে তৈরি টান টান থ্রিলারের টিজ়ারমুক্তি ঘটল গণেশ চতুর্থীতে। সেই ঝলক বলছে, সমানে সমানে যেন টক্কর দিয়েছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-আবীর চট্টোপাধ্যায়। সত্যিই কি পর্দায় এমন কিছুই ঘটতে চলেছে?
আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার কাছে। শুনে হেসে ফেলেছেন শিবপ্রসাদ। তার পরেই তিনি আবীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁর কথায়, “টিজ়ারের দৃশ্য বলে দিচ্ছে, আবীর কতখানি কঠিন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। কেউ জানেন না, অভিনয়ের পাশাপাশি টেকনিক্যাল দিক থেকেও ও কতটা নিখুঁত।” এ বিষয়ে প্রযোজক-পরিচালকের উদাহরণ, দৃশ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দায়িত্ব সহকারী পরিচালকদের। আবীর নিজের অভিনীত দৃশ্যের ‘কন্টিনিউটি’ নিজে মনে রাখতেন। যাতে একটুও ত্রুটি না থাকে। একই সঙ্গে অ্যাকশনেও তুখোড়। একটি দৃশ্যে ২৫ ফুট গভীর শুকনো নালার উপর দিয়ে আবীরকে ঝাঁপ দিতে হবে। এক বার মাত্র সেই দৃশ্যের মহড়া দিয়েছিলেন তিনি। পরের দৃশ্যেই নিখুঁত শট!
অ্যাকশনে আবীর চট্টোপাধ্যায় ছবি: সংগৃহীত।
এ তো গেল অভিনয় প্রসঙ্গ। টিজ়ারে ঋতাভরী চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর একাধিক রোম্যান্টিক দৃশ্য রয়েছে। উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার ‘ফাটাফাটি’ ছবির পর ফের পুজোর ছবিতে আবীর-ঋতাভরী জুটিতে। বাস্তবে কোনও রোম্যান্টিসিজ়ম কি ছিল তাঁদের মধ্যে? শিবপ্রসাদের কথায়, “আবীর গম্ভীর মুখে ভয়ঙ্কর রসিকতা করতে পারে। না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। এক বার দৃশ্যগ্রহণের ফাঁকে আমরা ঋতাভরীর সঙ্গে মজা করছিলাম। বলছিলাম, তোমার বাড়ি শান্তিনিকেতনে। আমাদের তো কোনও দিন আমন্ত্রণ জানালে না!” সঙ্গে সঙ্গে নাকি আবীর গম্ভীর মুখে তাঁর পর্দার নায়িকার উদ্দেশে বলে ওঠেন, “সে কী! তুমি আমায় একা নিমন্ত্রণ করলে, ওঁদের ডাকোনি!” শুনে অভিনেত্রী নাকি রেগে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। জানান, এই মিথ্যে রসিকতা নিয়ে এ বার সকলে তাঁর পিছনে লাগবেন। শিবপ্রসাদের কথায়, “ঋতাভরী অঝোরে কাঁদছে। আমরা হো হো করে হাসছি। এই রসায়নই পর্দায় দেখবেন দর্শক।”