Sekhar Suman

৪ জনের কথা বলতে পারি, যারা আমাকে আর আমার ছেলেকে বলিউড থেকে সরাতে চেয়েছিল: শেখর সুমন

বলিউডের রাজনীতি নিয়ে সরব হলেন অভিনেতা শেখর সুমন। শেখর জানান, তিনি এমন অন্তত চার জনকে চেনেন, যাঁরা তাঁকে এবং তাঁর পুত্র অধ্যয়নকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে তা়ড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ১৭:২৫
Share:

প্রিয়ঙ্কার পর বলিউডের রাজনীতি নিয়ে মুখ খুললেন শেখর সুমন। — ফাইল চিত্র।

বলিউড কিছু লোকের একচেটিয়া ছড়ি ঘোরানোর জায়গা হয়ে উঠেছে, এমনটাই মনে করছেন বেশ কিছু তারকা। তাঁদের কেরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই সব ‘গ্যাংস্টার’-এর রাজনীতিতে, সে কথাও উঠে এসেছে। অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া কিছু দিন আগে অভিযোগ করেছিলেন, বলিউডে দীর্ঘ দিন তাঁকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল, কাজ পেতেন না তিনি। সেই মন্তব্যে পাশে পেয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত এবং বিবেক অগ্নিহোত্রীকেও।

Advertisement

এ বার তাঁর সুরেই বলিউডের রাজনীতি নিয়ে সরব হলেন অভিনেতা শেখর সুমন। শেখর টুইট করে জানান, তিনি এমন অন্তত চার জনকে চেনেন, যাঁরা তাঁকে এবং তাঁর পুত্র অধ্যয়ন সুমনকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। শেখরের মতে, “এই সব ব্যক্তির বেশ প্রভাব আছে ইন্ডাস্ট্রিতে। এরাই বলা যায় নাটের গুরু।”

অভিনেতার বক্তব্য, এই সব লোক বিষধর সাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর। যদিও তাঁর মত, এঁদের নিয়েই চলতে হয়। কারণ কোনও কিছু দিয়েই এঁদের দাবিয়ে রাখা যায় না। অভিনেতা জানান, প্রিয়ঙ্কার বক্তব্যে তিনি অবাক হননি।

Advertisement

শেখর পাল্টা লেখেন, “হয় এটা মেনে নাও, নয় ছেড়ে দাও। প্রিয়ঙ্কা ছেড়ে দিয়েছে।” ইন্ডাস্ট্রি এ ভাবেই চলে। এই সব লোকেরা অন্যদের দাবিয়ে রাখতে চায় বলেই মত অভিনেতার। প্রিয়ঙ্কার হলিউডে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তকেও সমর্থন করেছেন তিনি। তাঁর মত, হলিউডে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে বিদেশে ভারতের গৌরব বাড়িয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা জানান, বলিউডে ‘সাত খুন মাফ’ ছবিতে কাজ করার সময় অঞ্জুলা আচারিয়ার কাছ থেকে ফোন পান তিনি। অঞ্জুলাই প্রথম তাঁকে প্রস্তাব দেন আমেরিকায় এসে গান গাওয়ার। সেই সময় নাকি বলিউড থেকে বেরোনোর রাস্তা খুঁজছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, ‘‘বলিউডে সেই সময় আমাকে প্রায় একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। আমাকে ভাল চরিত্রে নেওয়া হচ্ছিল না। আমার সঙ্গে অনেকের ঝামেলাও হয়েছিল। আর আমি এ সব এখন পছন্দ করি না। আমি এ সব নোংরা রাজনীতির মধ্যে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement