‘মিঠাই’ শেষ হতে না হতেই পর্দার দুই ভাই ধ্রুবজ্যোতি সরকার এবং আদৃত রায় বেরিয়ে পড়েছেন পাহাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
যে কোনও কাজ শেষ হওয়ার পর অনেকেই কিছু দিনের বিরতি নিতে চান। যাতে পরবর্তী কালে নতুন কাজে পুরোপুরি মন দিতে পারেন। বিশেষত অভিনেতারা একটা কাজ শেষ হওয়ার পর অনেক দিনের বিরতি নেন। আগামী দিনে নতুন চরিত্রের উপর যেন আগের কাজের কোনও ছাপ না থাকে। সেই পন্থাই নিয়েছে ‘মিঠাই’ সিরিয়ালের সিদ্ধার্থ মোদক। সিড্কে এখনও পুরোপুরি ভুলতে পারেনি দর্শক। মাত্র কয়েক দিন হল শেষ হয়েছে ‘মিঠাই’ সিরিয়াল। এই সিরিয়ালের মাধ্যমেই ছোট পর্দায় হাতেখড়ি হয় অভিনেতা আদৃত রায়ের। প্রথম কাজেই বাজিমাত। তাঁর অভিনীত চরিত্র এখনও ভুলতে পারছেন না কেউ।
শেষ আড়াই বছরে মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষা কুন্ডুর সঙ্গে আদৃতের জুটি পেয়েছিল বিপুল জনপ্রিয়তা। ২৭ মাসের যাত্রা শেষে অবশেষে বিরতি নিয়েছেন আদৃত। সেই ছবি ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। কাজ করতে করতে সেটের কেউ কেউ হয়ে ওঠেন ঘনিষ্ঠ। তেমনই ‘মিঠাই’ সিরিয়ালের মাধ্যমে ধ্রুবজ্যোতি সরকার এবং আদৃতের মধ্যে গড়ে উঠেছে ভাল বন্ধুত্ব। সেই ঝলক পাওয়া গেল ফেসবুকে। ‘মিঠাই’ শেষ হতে না হতেই পর্দার দুই ভাই বেরিয়ে পড়েছেন পাহাড়ে। তাঁদের দার্জিলিং ঘোরার বেশ কিছু ছবি দেখতে পাওয়া গেল।
তবে আদৃত আর ধ্রুবর ছবি দেখে মোটেও খুশি নন দর্শক। অনেকেরই মন্তব্য, “কৌশাম্বীদিকে কেন দেখতে পাচ্ছি না ছবিতে?” এই সিরিয়ালে আদৃতের দিদির চরিত্রে দর্শক দেখেছেন কৌশাম্বী চক্রবর্তীকে। স্টুডিয়োপাড়ায় ফিসফাস, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কৌশাম্বী এবং আদৃত একে অপরকে মন দিয়ে বসেছেন। এমনকি শোনা যায়, নভেম্বরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল নায়কের। কিন্তু কোনও এক কারণে প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যায় আদৃতের। তার পর থেকেই শুরু নায়কের সঙ্গে কৌশাম্বীর প্রেমের গুঞ্জন। তবে প্রকাশ্যে নিজেদের সম্পর্কের কথা কখনও স্বীকার করেননি তাঁরা। এ প্রসঙ্গে কৌশাম্বী আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, দু’জনে শুধুই বন্ধু এবং ভাল আছেন তাঁরা।