(বাঁ দিকে) সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণ ছবি: সংগৃহীত।
২৭ মার্চ আংটিবদল করেন অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দরি ও সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণ। যদিও গোটা অনুষ্ঠানেই ছিল গোপনীয়তার মোড়ক। শুধু পরিবার ও আত্মীয়-পরিজনের উপস্থিতিতে ছোট করেই অনুষ্ঠান সারেন তাঁরা। অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় তেলঙ্গানার রঙ্গনায়কস্বামী মন্দিরে। যদিও রটে যায়, গোপনে বিয়ে সেরেছেন যুগল। না, তেমন কিছুই হয়নি। বিয়ের জন্য এখনও কিছুটা সময় বাকি। ‘হীরামন্ডি’র সাফল্য উপভোগ করছেন অদিতি। সিরিজ়ে তাঁর ‘গজগামিনী চলন’ঝড় তুলেছে নেটমাধ্যমে। খুব শীঘ্রই বিয়ে করবেন তাঁরা। বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে থাকার পর তাঁরা বাগ্দান সেরেছেন। যদিও স্বভাবে লাজুক সিদ্ধার্থ একেবারে হাঁটু মুড়ে বসেই প্রেম নিবেদন করেন। তাতে জুড়ে ছিল অদিতির ছোটবেলার স্মৃতি।
অদিতি ও সিদ্ধার্থ, দু’জনেরই দ্বিতীয় বিয়ে এটি। ২০০৩ সালে ছোটবেলার বান্ধবী মেঘনাকে বিয়ে করেছিলেন সিদ্ধার্থ। দীর্ঘস্থায়ী হয়নি সেই বিয়ে। তিন বছরের মধ্যেই ভেঙে যায় সম্পর্ক। ২০০৭ সালে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয় সিদ্ধার্থের। অদিতির গল্পও খানিকটা একই রকম। মাত্র ২১ বছর বয়সেই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় অদিতির। তবে চার বছর পর বিয়ে ভাঙে নায়িকারও। ২০২১ সালে ‘মহা সমুদ্রম’-এর সেটে আলাপ অদিতি ও সিদ্ধার্থের। ছবির সেট থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব, তার পর প্রেম। তবে সকলেরই আগ্রহ ছিল অদিতিকে বিয়ের জন্য আদৌ প্রস্তাব দিয়েছেন তো সিদ্ধার্থ। সম্প্রতি দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অদিতি বলেন, ‘‘সিদ্ধার্থ প্রায় দিনই আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার ভান করত। একদিন আমাকে হায়দরাবাদে নিয়ে যেতে বলল। তা-ও আবার আমার ঠাকুমার স্কুলে। সেখানে আমার শৈশবের অনেকটা কেটেছে।” পাশাপাশি অভিনেত্রী জানান, তিনি তাঁর ঠাকুমার ভীষণ কাছের ছিলেন। সে কথা জানেন সিদ্ধার্থও। তাই অদিতিকে ছল করেই সেই স্কুলে নিয়ে যান সিদ্ধার্থ। সেখানেই হাঁটু মুড়ে বসে বিয়ের প্রস্তাব দেন অদিতিকে।