আদিল এবং পাওলি।
ইতিহাস তো থাকেই। মানুষের কাজ সেটা খুঁজে বের করা। সেই খোঁজ থেকেই মাটির জন্ম। স্মৃতি-প্রেম-রক্ত-সম্পর্ক— আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে আছে ‘মাটি’-কে। কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে দুই মানুষের প্রেক্ষিতে আজকের সময়কে সেলুলয়েডে ধরে রাখতে চেয়েছেন ‘মাটি’র পরিচালকদ্বয় লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মাটি’ নিয়ে আড্ডা দিতে দিতে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলেন মেঘলা ও জামিল। মাটিতে আদপে যাঁরা পাওলি ও আদিল। ‘‘মেঘলার চরিত্র করতে গিয়ে আমি লীনাদিকেই ফলো করেছি।’’ পাওলির উচ্ছ্বাস। অন্য দিকে আদিল যোগ করলেন, ‘‘যে দিন চিত্রনাট্য পড়েছিলাম সে দিনই বুঝেছিলাম, এটা হৃদয় দিয়ে লেখা গল্প। আর হৃদয়টা যে স্বয়ং লীনার, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি।’’
এই প্রথম বাংলা ছবিতে পাওলি-আদিল জুটি। কেমিস্ট্রিটা গড়ে উঠল কেমন করে? পাওলি: ‘‘প্রচুর ভাল ভাল রান্না করে আদিল আমায় খাইয়েছে। ও শুধু এক জন ভাল অভিনেতাই নয়, এক জন ভাল মানুষও।’’ আবেগ ছুঁয়ে যায়, পাওলির দিকে একটু ঝুঁকে পড়ে আদিল বলতে থাকেন, ‘‘শুনেছি, মেয়েরাই ভাল রান্না করে ছেলেদের মন ভোলায়। এ ক্ষেত্রে কিন্তু উল্টো হয়েছে।’’ চকিত চাহনির আদানপ্রদান। মুহূর্তেরা সাক্ষী। পাওলির হলদে শাড়ি আর কাচের চুড়ির নিস্তব্ধতায় ঠিকরে পড়ে বৈশাখী তৃপ্তি— নিজে থেকেই বলে ওঠেন, ‘‘শুধু আমার আর আদিলের কেমিস্ট্রি নয়, লীনাদি ও শৈবালদা এবং শীর্ষ আর দেবজ্যোতিদার সৃষ্টির প্রলেপও পড়েছে ‘মাটি’-তে।’’
‘মাটি’ আসলে শুধু প্রেমের নয়, হৃদয় প্রেমের শীর্ষে।