বার বারই অভিযোগের তিরে বিদ্ধ হয়েছে টিনসেল নগরী। সাহস করে মুখ খুলেছেন একাধিক অভিনেত্রী। বেরিয়ে এসেছে গ্ল্যামারের দ্যুতিতে ঝলমলে বলিউডের আড়ালে থাকা এক অন্য বলিউডের চেহারা। বিভিন্ন সময়ে মায়ানগরীর এমন কদর্য চেহারার পর্দাফাঁস করেছেন এখানকারই একাধিক নায়িকা।
বলিউডের গোপন চেহারা ফাঁস এঁদের হাতেই।
কখনও কাজ দেওয়ার নামে অশালীন প্রস্তাব, কখনও বা পারিশ্রমিক বা কাজের তারিখে শ্রেণিবৈষম্য। বার বারই অভিযোগের তিরে বিদ্ধ হয়েছে টিনসেল নগরী। সাহস করে মুখ খুলেছেন একাধিক অভিনেত্রী। বেরিয়ে এসেছে গ্ল্যামারের দ্যুতিতে ঝলমলে বলিউডের আড়ালে থাকা এক অন্য বলিউডের চেহারা। মায়ানগরীর এমন কদর্য চেহারার পর্দাফাঁস করেছেন যে সব নায়িকারা—
নার্গিস ফকরি: বলিউডে কাস্টিং কাউচের অভিযোগ নতুন নয়। সেটাই সপাটে জানিয়েছেন নার্গিস। বলেছেন, ‘‘খ্যাতির খিদে নেই আমার। তার জন্য নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো বা পরিচালকের শয্যাসঙ্গিনী হতে আমি রাজি নই। সে কারণে বিভিন্ন সময়ে একাধিক কাজ হারিয়েছি।’’
কঙ্গনা রানাউত: বলিউডে অভিনেত্রীদের লড়াইয়ের আসল চেহারা প্রকাশ্যে এনেছিলেন কঙ্গনাও। করিনা কপূরের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘অভিনেত্রীদের কাজটা যতটা না কায়িক পরিশ্রমের, তার চেয়ে অনেক বেশি লড়াই করতে হয় মানসিক ভাবে। অনুভূতিগুলো একেবারে ওলটপালট হয়ে গিয়ে নায়িকা এক জন অন্য মানুষ হয়ে ওঠে।’’
রিচা চড্ডা: টিনসেল নগরীর অন্ধকারে আলো ফেলেছিলেন রিচা। অতীতে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছিলেন, ‘এখানে এমন অনেক কিছু করতে বলা হয়, যা শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য, কেরিয়ার— সবের জন্যই খারাপ। এবং বিশ্বাস করতে বাধ্য করানো হবে যে সে সব কাজ করা বলিউড কেরিয়ারের জন্যই ভাল।
তাপসী পান্নু: তাপসী চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন বলিউডের শ্রেণিবৈষম্য। এক খোলা চিঠিতে লিখেছেন, ‘একাধিক বার আচমকা আমার পারিশ্রমিক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ প্রযোজকের কোনও কারণে লোকসান হয়েছে। সামান্য টাকা পেতেও লড়াই করতে হয়েছে। অথবা হয়তো আমার সঙ্গে ছবির সব কথা পাকা হয়ে গিয়েছে। শ্যুটিংয়ের তারিখ পর্যন্ত ঠিক। হঠাৎ সব চুপচাপ। তার পরে খবর পেয়েছি, বড় কোনও অভিনেত্রী সেই চরিত্রে আসছেন। প্রথম সারির অভিনেত্রী নই বলে নায়ক আমার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হননি। এমনটা বলিউডে আকছার হয়ে আসছে।’