‘বেটি বচাও’ স্লোগানের প্রচারকে কেন্দ্র করেই তৈরি পরিচালক দিব্যাং ঠক্করের প্রথম ছবি ‘জয়েশভাই জোরদার’। তা হলে তারই প্রচার ঝলকে কেন ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণের মতো অবৈধ কাজের বিজ্ঞাপন হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে একটি এনজিও।
‘জয়েশবাই জোরদার’-এর এক ঝলক।
ছবির থিমে কন্যাসন্তান বাঁচানোর ডাক। প্রচার ঝলকে ইউএসজি-র মাধ্যমে লিঙ্গ নির্ধারণের দৃশ্য। কেন এমন বেআইনি কাজ জায়গা করে নেবে ছবিতে? প্রতিবাদে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল ‘জয়েশভাই জোরদার’-এর বিরুদ্ধে।
‘বেটি বচাও’ স্লোগানের প্রচারকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে পরিচালক দিব্যাং ঠক্করের প্রথম ছবি ‘জয়েশভাই জোরদার’। উদ্দেশ্য কন্যাভ্রূণ হত্যার প্রতিবাদ। তা হলে তারই প্রচার ঝলকে কেন ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণের মতো অবৈধ কাজের বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে? এমনই প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে ‘ইউথ এগেনস্ট ক্রাইম’ নামে একটি এনজিও।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিপিন সঙ্ঘি এবং বিচারপতি নবীন চাওলার ডিভিশন বেঞ্চে ওঠা ওই মামলায় বলা হয়েছে, ইউএসজি ক্লিনিকের ওই দৃশ্যটিতে প্রকাশ্যে ইউএসজি-র মাধ্যমে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ দেখানো হচ্ছে কোনও রকম সেন্সর ছাড়াই। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং পিএনডিটি আইন অনুযায়ী এ কাজ অবৈধ। সেই কারণেই এই জনস্বার্থ মামলা। ইতিমধ্যেই সেন্সর বোর্ডের তরফে সর্বসাধারণের উপযোগী ছবির ছাড়পত্র পেয়েছে ‘জয়েশভাই জোরদার’। কোনও রকম কাটছাঁট ছাড়াই বোর্ডে পাশ হয়েছে ছবিটি।
আগামী ১৩ মে মুক্তি পাওয়ার কথা ‘জয়েশভাই জোরদার’-এর। নামভূমিকায় রণবীর সিংহ। বিপরীতে ‘অর্জুন রেড্ডি’র অভিনেত্রী শালিনী পাণ্ডের এটিই প্রথম বলিউড ছবি। এ ছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন বোমান ইরানি, রত্না পাঠক শাহ প্রমুখ।