Ushasie Chakraborty

ব্লাউজ়ে লেখা ‘বিচার চাই’, শাড়িতেও বিশেষ বার্তা! ভাইফোঁটায় আরজি কর-কাণ্ড ফেরালেন ঊষসী

বেশ কিছু ছবি ঊষসী ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। নজর কেড়েছে তাঁর ব্লাউজ় ও শাড়ির পাড়। ব্লাউজ়ের পিঠে লেখা ‘বিচার চাই’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩১
Share:

ঊষসী চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

ধীর ধীরে কি কমে আসছে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনের ঝাঁঝ? দুর্গাপুজোয় না হলেও কালীপুজোর রাতে বাঙালি যে পরিপূর্ণ ভাবে উৎসবে শামিল হয়েছে, তা বলাই যায়। আতশবাজি আর নিষিদ্ধ শব্দবাজির আড়ালে কি সত্যিই চাপা পড়ে গিয়েছে বিচারের দাবি? খানিক অন্য ছবি দেখালেন অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী।

Advertisement

পরনে সাদা শাড়ি ও সাদা ব্লাউজ়। ভাইফোঁটার জন্য এমনই সাজ বেছে নিলেন অভিনেত্রী। তবে এই শাড়ির মাধ্যমেই মনে করিয়ে দিলেন, আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবি এখনও জারি রয়েছে।

বেশ কিছু ছবি ঊষসী ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। নজর কেড়েছে ব্লাউজ় ও শাড়ির পাড়। ব্লাউজ়ের পিঠে লেখা ‘বিচার চাই’। আরজি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বার বার উঠে এসেছে শিরদাঁড়ার প্রসঙ্গ। সেই কথাই ফের মনে করাল শাড়ির আঁচল। সেখানে লেখা ‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই’।

Advertisement

কেন ভাইফোঁটার দিন এই শাড়ি বেছে নিলেন ঊষসী? অভিনেত্রীর কথায়, “আন্দোলনের সময়েই এই শাড়িটি উপহার হিসাবে পেয়েছিলাম। সন্দীপা নামে এক আন্দোলনকারী পোশাকশিল্পী আমাদের কয়েকজনকে শাড়িটি বানিয়ে দেন। তিথি মেনে না হলেও, প্রতি বারই ভাইফোঁটা দিই। ভাইফোঁটা পালনের সঙ্গে সঙ্গে বোনের বিচারের দাবিও মনে রাখতে হবে। পুজো বা উৎসব যেমন রয়েছে, বিচারের কথাও ভুলে গেলে তো হবে না।”

আরজি কর-কাণ্ডের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সরব ছিলেন ঊষসী। জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনেও উপস্থিত ছিলেন। তাই নির্যাতিতার বিচারের কথা মনে করিয়ে দিতে চান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “এই শাড়িটা আজ পরলাম। কারণ, ভাইদের মঙ্গল চাওয়ার সঙ্গে বোনের বিচারের কথাও আমার মাথায় রয়েছে।”

সমাজমাধ্যমে ঊষসীর এই ছবি দেখে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নেটাগরিকেরা। অনেকেই এই শাড়ি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। কেউ কেউ আবার খোঁচা দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, “প্রচারে থাকার জন্যই এমন পোশাক?” এমন মন্তব্যে পাত্তা দিতে নারাজ অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “লোকের কথায় তো শাড়ি পরব না। নিজের ইচ্ছেয় পরেছি। এই দিন ভাইদের জন্য মঙ্গল কামনা থাকে। তেমনই আরজি করের সেই চিকিৎসক বোনের জন্যও আমাদের কিছু কর্তব্য বাকি রয়েছে। আমরা কাজে ফিরেছি। কিন্তু ভুলিনি কিছুই। লোকে কী বলবে, তা নিয়ে ভাবা আমি বহু দিন আগেই ত্যাগ করেছি। এ সব প্রভাব ফেলে না। শাড়িটা আমার খুব পছন্দের।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement