চুটিয়ে জীবন উপভোগ করছেন ‘কাঁটা লাগা গার্ল’। ছবি—ইনস্টাগ্রাম
ঘুরতে ভালবাসেন শেফালি জ়রিওয়ালা। কাজের ফাঁকে উড়ে যান নির্জন দ্বীপ হয়ে সমুদ্রে। তার পর শুরু অভিযান। হাতে কাজ থাক বা না থাক, লোকে তাঁকে মনে রাখুক বা না রাখুক, পরোয়া কী! চুটিয়ে জীবন উপভোগ করছেন ‘কাঁটা লাগা গার্ল’।
সম্প্রতি এক প্রেমঘন মুহূর্তের ছবি দিলেন অভিনেত্রী। সেখানে দেখা গেল, স্বামী পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে একই বরফ আইসক্রিমে ঠোঁট রেখেছেন তিনি। আয়েশ করে টকমিষ্টি গোলার স্বাদ উপভোগ করছেন দু’জনে। একজনের ঠোঁট ছুঁয়ে যাচ্ছে অন্যের অধর। শেফালির জিভের স্বাদ জড়িয়ে যাচ্ছে গোলায়, সেখান থেকে যেন আরও বেশি স্বাদু রস উপভোগ করছেন ত্যাগী। বেড়াতে এসে ক্যামেরার সামনে এ ভাবেই একরাশ উষ্ণতা ছড়িয়ে দিলেন স্বামী-স্ত্রী।
বুঝিয়ে দিলেন, কাছাকাছি আসার জন্য যে কোনও অজুহাতই যথেষ্ট। তাঁদের রসায়ন এখনও সম্পর্কের শুরুর দিনগুলোর মতোই রোমাঞ্চে ভরপুর। ভিডিয়োটি পোস্ট করে শেফালি লিখেছেন,“রোম্যান্স”। যা দেখে চোখ টাটাল অনেকেরই। এমন দাম্পত্য আর ক’জনের হয়!
২০০২ সাল। ঝলমলে পোশাকে নাচতে নাচতে এসেছিলেন সেই তরুণী। কেউ তাঁকে চেনেন না তখনও। কিন্তু চিনে নিলেন এক রাতেই। নিমেষে ভাইরাল ‘কাঁটা লাগা’ গানের ভিডিয়ো। পায়ে পায়ে আগুন! গায়ে কাঁটা লাগছে দর্শকের, কে এই নবাগতা? জানা গেল, শেফালি জ়রিওয়ালা তাঁর নাম। ঘরে ঘরে, রাস্তাঘাটে দিনেরাতে, সর্বত্র বাজত সেই গান। যত না শুনতেন লোকে, দেখতেন বেশি। শেফালির নাচেই চোখ সবার। তাঁর নাম না জানলেও ‘কাঁটা লাগা গার্ল’কে চিনে নিয়েছিল সারা দেশের গ্রাম-শহরের দর্শক।
তবে বারুদের মতো যেমন জ্বলে উঠেছিলেন, তেমনই উধাও হয়ে গিয়েছিলেন শেফালি। হাউইয়ের মতো দ্রুত। কোথায় যে গেলেন, কেউ কি জানেন? এখন কী করেন সেই ‘আইটেম গার্ল’?
শুধু এখন নয়, আগেও দশ-পনেরোটি গানের অ্যালবামে কাজ করেছেন তিনি। ২০০৪ সালে ‘মুঝসে শাদি করোগি’ ছবিতে বিজলি চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন। অংশ নিয়েছেন জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘নাচ বলিয়ে’তেও। কিন্তু এখনও লোকে তাঁকে ‘কাঁটা লাগা’ কন্যা হিসাবেই মনে করতে পারবেন। এখন আর তিনি অতীতের সেই তরুণী নন, সদ্য ৪০ বছরে পা দিলেন শেফালি। তবে জৌলুস একই রকম। সমাজমাধ্যমে নজর রাখলে দেখা যায়, ইনস্টাগ্রামে লক্ষাধিক অনুরাগী তাঁর।