(বাঁ দিকে) অরিন্দম শীল। সঙ্ঘশ্রী সিংহ মিত্র (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।
শনিবার রাত থেকে চর্চায় অরিন্দম শীল। সম্প্রতি, এক অভিনেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। তথ্যপ্রমাণ-সহ সেই অভিযোগ সম্পর্কে জানার পরেই ডিরেক্টর্স গিল্ড তাঁকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছে। খবর ছড়াতেই পরিচালককে নিয়ে একের পর এক মুখ খুলছেন বাংলা বিনোদন দুনিয়ার অভিনেত্রীরা। তালিকায় স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, দামিণী বেণী বসু, সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং আরও অনেকে। এই জায়গা থেকেই ছোট-বড় পর্দার জনপ্রিয় মুখ সঙ্ঘশ্রী সিংহ মিত্র আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে কিছু প্রশ্ন রেখেছেন। প্রথমেই তাঁর জিজ্ঞাসা, “অরিন্দম শীল যে দিন প্রথম অভিনেত্রীদের গায়ে হাত দেওয়া শুরু করেছিলেন, সে দিন থেকে কেউ কেন প্রতিবাদ জানাননি? অর্থাৎ, সে দিন যাঁর গায়ে তিনি হাত দিয়েছিলেন, তাতে তাঁরও সায় ছিল। সেই জন্যই তিনি চুপ ছিলেন। ফলে, ক্রমশ সাহস বেড়েছে অভিযুক্তের।” অভিনেত্রীর কটাক্ষ, “সাড়া না দেওয়ার কারণে অনেক প্রতিভা কাজ পান না। আর যখনই কারও স্বার্থে ঘা লাগে, তখনই তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। এটাও কি কাম্য?”
সঙ্ঘশ্রীর বক্তব্য এখানেই শেষ নয়। তাঁর দাবি, “ইন্ডাস্ট্রিতে অরিন্দম শীল কিন্তু একা নন। এ রকম অনেক ‘অরিন্দম শীল’ ইন্ডাস্ট্রিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁরাও এ বার শাস্তি পাবেন তো?” অভিনেত্রীর মতে, শুধুই প্রযোজক বা পরিচালক নন, অভিনেতা, টেকনিশিয়ানদের মধ্যেও কিন্তু এই স্বভাবের অনেক লোক লুকিয়ে। তাঁরাও অভিযুক্ত পরিচালকের মতোই প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নিয়েছেন। অরিন্দম শীল শাস্তি পেয়েছেন, তিনি খুশি। বাকিরাও এ বার একই ভাবে প্রকাশ্যে আসুন, দাবি তাঁর। অভিনেত্রীর আরও অভিযোগ, তিনিও অন্য একাধিক পরিচালকের কাছ থেকে কুপ্রস্তাব পেয়েছেন। শারীরিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এই কারণে একাধিক কাজ ছেড়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ আর্টিস্ট ফোরামে অভিযোগ জানাতে গেলে সংগঠন সেই অভিযোগ নেয় না। এই মানসিকতাও বদলাতে হবে।
সম্প্রতি, শ্যামবাজারে রাত দখলে অংশ নিতে গিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অথচ ১৪ অগস্ট প্রথম রাত দখলের কর্মসূচিতে টলিউড একজোট হয়ে পথে নামার দিন অরিন্দম পথে নেমেছিলেন। তাঁকে লক্ষ্য করে কেন কেউ এই ধ্বনি দেননি? আনন্দবাজার অনলাইনের এই প্রশ্নের জবাবে সঙ্ঘশ্রীর উত্তর, “দেবেন না কেউ। কারণ, ওঁর পিছনে টলিউডের তাবড় খ্যাতনামীরা রয়েছেন। অরিন্দমদা প্রত্যেককে কোনও না কোনও ভাবে নিজের কব্জায় রেখেছেন। ফলে, তিনি পথে নামলে বারণ করার কেউ নেই। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়ারও কেউ নেই।” অভিনেত্রীর ব্যঙ্গ, উল্টে ‘তারকা পরিচালক’-এর সঙ্গে নিজস্বী তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।