(বাঁ দিকে) অরিন্দম শীল। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
নারীনিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার এক অভিনেত্রী পরিচালকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন। সপ্তাহ দুই না কাটতেই পদক্ষেপ করল ‘ডিরেক্টর্স গিল্ড’। সাসপেন্ড করা হল পরিচালককে। ইমেল মারফত অরিন্দম শীলকে এই সংক্রান্ত নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর। গিল্ডে পরিচালকের সদস্যপদ সংখ্যা ১৯৩।
অরিন্দম শীলের ক্ষমাপ্রার্থনা।
অরিন্দম সাসপেন্ড হতেই দীর্ঘ ২০ বছরের অপেক্ষার অবসান হল বলে মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তিনি ভাবেননি এ জন্মে এমন বিচার নিজের চোখে দেখতে পারবেন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁর প্রার্থনা শোনার জন্য।
গত কয়েক বছরে, বিভিন্ন সময় একাধিক অভিনেত্রী অরিন্দমের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনেন। যদিও প্রতি বারই পরিচালক তাঁদের অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করেছেন। তবে এ বার ‘ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পরিচালককে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। কারণ, পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্বস্তিকা লেখেন, ‘‘পাপের ঘড়া উল্টোয়। ভেবেছিলাম বোধহয় নিজের জীবনে দেখে যেতে পারব না। ভগবান তুমি এই কথাটুকু যে রেখেছ, এই অনেক। ২০ বছর সময় লাগল, সে লাগুক। আমাদের জগতের সমস্ত মেয়েদের বলছি। সময় এসেছে, সম্মান দখল করার। আর ভয় নয়। গলা তুলে, আঙুল তুলে চিৎকার করে নোংরা লোকগুলোর মুখোশ টেনে ছিঁড়তে হবে। সবাই বেরিয়ে এসো। হাত ধরে একসঙ্গে সরব হই। এটা আমাদের ন্যায্য অধিকার।’’
ডিরেক্টর্স গিল্ডের সভাপতি সুব্রত সেন আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘মহিলা কমিশনের তরফ থেকে অভিযোগ আসার পরেই আমরা বিষয়টি নিয়ে সকলে আলোচনায় বসি। সকলের সম্মতিতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী অনির্দিষ্ট কালের জন্য পরিচালকের বিরুদ্ধে এই বিশেষ নির্দেশ কার্যকর করা হবে। যে দিন তিনি ‘নির্দোষ’ শংসাপত্র পাবেন, সে দিন থেকে আবার আগের মতো কাজ শুরু করতে পারবেন।’’
এই প্রসঙ্গে অরিন্দম শীলের লেখা চিঠি পোস্ট করেছেন স্বস্তিকা। যেখানে পরিচালক লিখেছেন, ‘‘মহিলা কমিশনের কাছে শিল্পী (নাম উহ্য) এর আমার সম্পর্ক করা অভিযোগ সম্পর্কে অন্তর থেকে দুঃখিত। আমি আমার ভুল স্বীকার করে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। তাঁর মানসিক ও পারিবারিক যন্ত্রণার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’’