অরিন্দম শীল। —ফাইল চিত্র।
একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক ঘটনায় টালমাটাল শহর কলকাতা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের নির্যাতন-মৃত্যু নতুন করে নারীনিগ্রহের মতো ঘটনাকে চর্চায় এনেছে। এর পরেই নতুন করে আলোচনায় বিনোদন দুনিয়ায় মহিলা কর্মীদের হেনস্থার ঘটনা। গত মাসে প্রকাশ্যে আসা হেমা কমিটির রিপোর্ট মুখোশ খুলে দিয়েছে দক্ষিণী দুনিয়ার প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা-সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের। এ বার বুঝি টলিউডের পালা। শনিবার একই অভিযোগে বিদ্ধ পরিচালক অরিন্দম শীলকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করল ডিরেক্টর্স গিল্ড। আনন্দবাজার অনলাইনকে সংগঠনের সভাপতি সুব্রত সেন বলেছেন, “সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটি ঘোষণার পরেই আমরা জানিয়েছিলাম, পরিচালকদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ-সহ অভিযোগ এলে আমরা পদক্ষেপ করব।" উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার এক অভিনেত্রী অভিযুক্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন।
সুব্রত আনন্দবাজার অনলাইনকে আরও বলেন, “মহিলা কমিশনের থেকে অভিযোগ আসার পরেই আমরা বিষয়টি নিয়ে সকলে আলোচনায় বসি। সকলের সম্মতিতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।” সেই অনুযায়ী অনির্দিষ্ট কালের জন্য পরিচালকের বিরুদ্ধে এই বিশেষ নির্দেশ কার্যকর হবে। যে দিন তিনি ‘নির্দোষ’ শংসাপত্র পাবেন, সে দিন থেকে আবার আগের মতো কাজ শুরু করতে পারবেন, জানিয়েছেন সুব্রত। অরিন্দমের নামোল্লেখ না করে এ-ও জানিয়েছেন, এর পরেও পরিচালক যদি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চান বা তাঁর সঙ্গে যদি কোনও প্রযোজক কাজ করেন সে ক্ষেত্রে কোনও বক্তব্য থাকবে না ডিরেক্টর্স গিল্ডের।
এ বিষয়ে কী বক্তব্য অরিন্দমের? তাঁর কথায়, “আমাকে বলা হয়ছে, শট বোঝাতে গিয়ে আমি অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছি। কিন্তু, সেই সময়ে চিত্রগ্রাহক থেকে শুরু করে সেটের বাকি সকলে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন।” তাঁর দাবি, তিনি শুক্রবার মহিলা কমিশনে গিয়ে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, তাঁর অনিচ্ছাকৃত কোনও আচরণের জন্য অভিনেত্রী যদি অপমানিত হয়ে থাকেন, তার জন্য তিনি আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। অভিযুক্ত পরিচালকের আরও বক্তব্য, “আমাকে চিঠি থেকে অনিচ্ছাকৃত শব্দটি বাদ দিতে বলা হয়েছিল। আমার সহকারী পরিচালক ও ফোটোগ্রাফার এবং সুরিন্দর ফিল্মসের সদস্যরা সাক্ষী হিসেবে আছেন। কিন্ত ডিরেক্টর্স গিল্ড আমার সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”