রোশনি ভট্টাচার্য। ছবি: ফেসবুক।
কোনটা ছেড়ে কোন উদ্যাপনে মাতবেন রোশনি ভট্টাচার্য? দেবীবরণ সেরে সিঁদুররাঙা হবেন? নাকি, বরের বাহুলগ্না হয়ে গোটা একটা দিন আদুরে আলাপে কাটাবেন?
ক্যালেন্ডার বলছে, আজ বিজয়া দশমী, আবার তূর্য সেন-রোশনি ভট্টাচার্যে র বিয়ের তিন বছরের জন্মদিনও। আজ তা হলে আবার মালাবদলের দিন? দিনভর জুটিতে কী করছেন, জানতে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। ফোনের ও পারে হাসি আর উচ্ছ্বাসের প্রাবল্য। নিজেকে সামলে রোশনি জানালেন, তিন বছর আগে, অর্থা়ৎ ২০২১-এ আজকের তারিখে তাঁরা আইনি বিয়ে সেরেছিলেন। দুই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের উপস্থিতিতে। হাসতে হাসতে রোশনির দাবি, “সে দিনই আগামী তিন বছরের তিন বারের মালাবদল সেরে নিয়েছিলাম।”
তূর্য বিনোদন দুনিয়ার কেউ নন। পেশায় ব্যবসায়ী। স্বামী হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়ার পর রোশনির গায়ে ‘অর্থলোভী’ তকমা সেঁটে গিয়েছিল। চূড়ান্ত কটাক্ষ। তূর্য কোন মন্ত্রে সে সব দূরে সরিয়ে সফল জীবনসঙ্গী? প্রশ্ন রাখতেই চটপট জবাব, “খুব শান্ত, কারও কথা কানেই তোলে না। খুব ভাল রাঁধতে পারে। ওঁর হাতের জাদুতেই তো তিন বছর মুগ্ধতার মধ্যে দিয়ে কেটে গেল।” আগামীতে তিনের পাশে যেন একটা শূন্য বসে, এমন আবদার জানাতেও ভোলেননি নায়িকা।
ভোজনরসিক স্বামী তাঁর নায়িকা স্ত্রীকে এ দিন রেঁধেবেড়ে খাওয়াচ্ছেন চিংড়ি, ইলিশ, পমফ্রেট। নায়িকা স্ত্রীকে যত্নে রাখতে আর কী কী করেন তূর্য? একটু ভেবে জবাব রোশনির, “খুব বেশি কিছু করে না। মন দিয়ে আমার কথা শোনে। সব ব্যাপারে নাক গলায় না। আমায় নিজের মতো থাকতেও দেয়।”
স্ত্রীর নামে গুঞ্জন শোনার পরেও স্থির থাকেন? হো হো হাসতে হাসতে নায়িকা বললেন, “আমরা খুব হাসতে পারি। আমরা সব বিষয়েই হাসি। আমার নামে কোনও গুঞ্জন শুনলেও তূর্য একই ভাবে হাসে। হেসে উড়িয়ে দেয় সবটা।”
নায়িকার দাবি, যাবতীয় মনোমালিন্য, দূরত্ব, খারাপলাগা নাকি এই হাসির দাপটেই মুছে সাফ।