বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
এই প্রথম মুম্বইয়ে নিজের পুজো। প্রথম উদ্যাপনের এমন বিজয়া দশমী বোধহয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি! ফোনে মুখ দেখা যায় না। কিন্তু কণ্ঠস্বর বলে দিচ্ছিল, বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয়ঙ্কর অবসন্ন। মনখারাপের রেশ তাঁর কথায় ছায়া ফেলেছে। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পূজার দাবি, ভীষণ ভাল মানুষ ছিলেন। দিলদরিয়া, বড় মনের। এক বার আলাপ হলেই তাঁর ইফতার পার্টিতে ডাকতেন।
বলিউডের তাবড় তারকার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতার সখ্য। সেই বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নেওয়ার মাধ্যম তাঁর ইফতার পার্টি। তারকারা শুটিং বাতিল করলেও কখনও তাঁর উৎসব থেকে মুখ ফেরাতেন না, জানিয়েছেন পূজা। “কোনও ভয়ে নয়, নিছক বন্ধুত্বের টানেই আমরা ওঁর উদ্যাপনে শামিল হতাম”, বক্তব্য তাঁর।
এ রকম পোড়খাওয়া এক রাজনীতিবিদের শেষ পরিণতি কী মর্মান্তিক! দশেরার রাতে একের পর এক পটকা ফাটছে। সেই শব্দের সঙ্গে মিশে গেল ছ’রাউন্ড গুলির আওয়াজ। এক জনকে খুন করতে চার জন আততায়ী! দুটো গুলিতে শেষ বাবা সিদ্দিকি। এই মর্মান্তিক পরিণতি দেখে কি বলিউড ভয় পাচ্ছে? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল পূজার কাছে। অভিনেত্রীর কথায়, “বলিউড একটুও ভয় পায়নি। আমরা প্রচণ্ড বিরক্ত! রেগে গিয়েছি খুব। এটা কী হল? এ ভাবে কেউ ফুরিয়ে যাবে কেন?”
যে লরেন্স বিষ্ণোই সলমন খানকে অনেক বছর ধরে লাগাতার খুনের হুমকি দিচ্ছে তারই দলের সদস্য বাবা সিদ্দিকির খুনের দায় স্বীকার করেছে বলে খবর। রবিবার মুম্বই পুলিশের তেমনই দাবি। সলমনের বাড়িতে নিরাপত্তা আরও কড়া হয়েছে। পূজা বিষয়টিকে কী ভাবে দেখছেন? বলিউড বলে, সলমন নাকি একমাত্র এই বঙ্গ নায়িকাকে তাঁর ছবির নায়িকা হওয়ার জন্য একাধিক বার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। প্রশ্ন শুনে কিছু ক্ষণ চুপ তিনি। তার পর পূজা বললেন, “এই প্রশ্নের কী জবাব দেব! মহারাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে আন্তরিক অনুরোধ, বাবা সিদ্দিকির মতো করে আর কাউকে যেন এ ভাবে বেঘোরে প্রাণ হারাতে না হয়।”