বেল্ট, জুতো দিয়ে মার বৃদ্ধ দাদু-দিদাকে, সোশ্যালে প্রতিবাদ জানাতেই হুমকি ফোন অভিনেত্রী মিসমিকে

মিসমির অভিযোগ, বেল্ট, জুতোর ঘা তো আছেই। ৯০ বছরের বৃদ্ধকে তুলে আছাড় মারতেও হাত কাঁপেনি নাতির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ২২:১৬
Share:

বৃদ্ধ দাদুর উপর এমনই অত্যাচার নেমে এসেছে, অভিযোগ মিসমির।

করোনাকালে থানা-পুলিশ করতে হল তাঁকে। সমানে হুমকি ফোনও পাচ্ছেন কাছের আত্মীয়ের থেকে। তারপরেও প্রশাসনের উপরেই ভরসা রেখেছেন ‘জিওনকাঠি’ ধারাবাহিকের ‘খলনায়িকা’ মিসমি দাস।
নেটাগরিকেরা জানেন, দিন দুই আগে মিসমি সোশ্যালে পোস্ট করে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর অশীতিপর দাদু-দিদার উপর ক্রমাগত অকথ্য অত্যাচারের কথা। অভিনেত্রীর অভিযোগ ছিল, তাঁর দাদু, ৯০ বছরের হরিদাস চক্রবর্তী এবং তাঁর ৮২ বছরের স্ত্রী স্নেহপ্রভা চক্রবর্তী নিগৃহীত হয়েছেন বড় ছেলে, বউমা এবং নাতির হাতে। তাঁরা হাওড়া শিবপুরের ৭৫ বছরের বাসিন্দা। যদিও তাঁরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কী নিয়ে হরিদাসবাবুর সঙ্গে বড় ছেলের অশান্তি? বৃদ্ধ জানান, তিনি রেলের উচ্চপদস্থ কর্মী ছিলেন। মোটা পেনশনও পান। তাঁর বাড়ি সম্প্রতি প্রমোটারের কাছে বিক্রি করে দেন বড় ছেলে কল্যাণ। হরিদাসবাবুর বক্তব্য, তিনি নতুন ফ্ল্যাট বা তার সমান টাকা তাঁর ছোট ছেলে রঞ্জন আর মিসমি-র মাকে দেওয়ার কথা বলেন। এতেই নাকি ক্ষেপে গিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন বড় ছেলে, তাঁর স্ত্রী সর্বাণী আর নাতি রক্তিম। দাদুর উপর সব থেকে বেশি অত্যাচার চালিয়েছেন ২৬ বছরের নাতি। এমনটাই অভিযোগ হরিদাসবাবুর। যাঁর আচরণ থেকে বিস্মিত দাদুর আক্ষেপ, ‘‘ছোট থেকে কোলেপিঠে করে মানুষ করলাম। যখন যা টাকাপয়সা চেয়েছে দিয়ে দিয়েছি। তার পরেও এ ভাবে আমায় মারল!’’

Advertisement

হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানানো হয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে। ওই বৃদ্ধের কাছে গিয়ে বয়ান নেবে পুলিশ। তার পরে তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
কী ধরনের অত্যাচার করা হয়েছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার উপর? মিসমির অভিযোগ, বেল্ট, জুতোর ঘা তো আছেই। ৯০ বছরের বৃদ্ধকে তুলে আছাড় মারতেও হাত কাঁপেনি নাতির।

Due to some technical issues , I’m unable to go live. But here’s a recording of the updates on my recent posts.

Advertisement

A post shared by Mishmee Das (@mishmeedas13) on

অভিযোগ, এ ভাবেই গত ৩ অগস্ট রাতভর অত্যাচারের পর ৪ অগস্ট ভোরে ছেলে ওছেলের বউ মা-বাবাকে বের করে দেন তাঁদের বাড়ি থেকে। সহায়-সম্বল হারিয়ে যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে হরিদাসবাবু তখন তাঁর আর তাঁর স্ত্রীর সারা গায়ে মারের কালশিটে দাগ!
খবর পেয়ে ছুটে যান বৃদ্ধের ছোট ছেলে রঞ্জন এবংমিসমি। তাঁরাই রাস্তা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে অ্যাপ ক্যাবে করে নিয়ে আসেন কেষ্টপুরে, মিসমির ছোটমামার বাড়িতে।

These people I’m writing about are my own maternal grandparents. Please give this a read and share as much as you can. This is an incident from No. 11 Kali Kumar Mukherjee Lane Shibpur, Howrah. The owner of the house, Mr. Haridas Chakraborty and his wife have been living in the house for about 75 years. They are 90 and 82 years old. . Haridas Chakraborty was a well-to-do railway employee and he got a good pension. For the last few days, they are being physically abused very brutally by his grandson Raktim Chakraborty and his son Kalyan Chakraborty, but his grandson has been beating these helpless old people the most. Since the evening of August 3, the torture has reached its climax. After being repeatedly beaten with belt, shoes and other household items Haridas Chakraborty and his disabled wife were thrown out from their home on the morning of 4th August. This is the most heinous case of brutality that one can come across, especially with old people at the age of 90. They are currently mentally broken and down and is in the protective custody of his other sons and daughters. I request you to share this post as much as possible so that people are aware of the kind of monstrous behaviour that took place with these old helpless people. Its truly a shame. I’ve attached the photos of my injured grandfather and the culprits . 11 নম্বর কালী কুমার মুখার্জী লেন শিবপুর ।হাওড়া র ঘটনা।।বাড়ির মালিক শ্রীযুক্ত হরিদাস চক্রবর্তী এবং তার স্ত্রী ওই বাড়ি তে প্রায় 75 বছর যাবৎ বাস করেন তাঁদের বয়স 90 এবং 82বছর ওই বাড়িতে আরো থাকে তাঁদের বড় ছেলে কল্যাণ চক্রবর্তী ,তার স্ত্রী সর্বানী চক্রবর্তী, ও ছেলে রক্তিম চক্রবর্তী ।হরিদাস চক্রবর্তী রেলে উছপদস্ত কর্মচারী ছিলেন এবং ভাল পেনশন পান সেই টাকা পয়সা তার ছেলে ছেলের বৌ নাতি প্রতি মাসে তার কাছে জোর করে কেড়ে নেয় না দিল আমানবিক অত্যাচার করে এভাবে দীর্ঘদিন চলে । গত কয়েকদিন যাবৎ তাঁরা শুরু করে ওই অসহায় মানুষ দুজনকে শারীরিক নির্যাতন।গত 3 আগস্ট সন্ধ্যে থেকে ওই অত্যাচার চরম আকার নেয় হরিদাস চক্রবর্তী কে আমানবিক ভাবে মারধর শুরু করে তার নাতি ছেলে এবং পুত্রবধূ। সারারাত ধরে চলে নিস্ংশ অত্যাচার সকালে 4 আগস্ট বাড়ি থেকে হরিদাস চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী কে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়৷ এবং তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়৷ জানে মেরে দেওয়ার তারপর তার ছোট ছেলে

A post shared by Mishmee Das (@mishmeedas13) on

এর পরেই মিসমি সোশ্যালে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি লকডাউন থাকায় এই ঘটনার একদিন পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মানবাধিকার কমিশন, হাওড়ারনগরপাল, শিবপুর থানা— প্রত্যেকের কাছে সবিস্তার এই অত্যাচারের বর্ণনা করে মেল পাঠান।
থানা থেকে মেলের প্রাপ্তিস্বীকারেরপরে মিসমি দ্বারস্থ হন প্রশাসনের। তাঁকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছেন তাঁর বড় দাদা ভুতু ও অন্য দুই বন্ধু।অসংখ্য অনুরাগীও সাহস জুগিয়েছেন মিসমিকে।


কী বলছেন বৃদ্ধেরবড় ছেলে কল্যাণ? মিসমি এবং রঞ্জনের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়ে ফোনে কল্যাণ এবং সর্বাণী জানিয়েছেন, ঋণ নিয়ে পুরনো বাড়ি কিনেছিলেন কল্যাণ। হরিদাসবাবু নয়। এখন রি-মডেলিং করবেন বলে ছোট ভাইয়ের কাছে বাবাকে পাঠানোর কথা বলতেই ভাই-বোন মিলে টাকা এবং ফ্ল্যাট দাবি করছেন। বাবাকে দিয়ে তাঁরাই মিথ্যে বলাচ্ছেন। এই চক্রান্তে সামিল তাঁদের এক খুড়তুতো দাদাও।
কল্যাণের আরও দাবি, তিনি কোনও দিন কারও গায়ে হাত তোলেননি। ছেলে রক্তিম কর্মসূত্রে দিল্লিবাসী। কোভিডের আতঙ্কে তিনি কলকাতায় আসতেই তাঁকেও ফাঁসিয়েছেন সবাই মিলে। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, বরং তাঁর স্ত্রী নাকি আগে প্রায়ই মারধর খেতেন তাঁর বাবার হাতে! এখন জোর করে বাড়ি দখলের হুমকিও দিচ্ছেন ভাই, বোন আর মিসমি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement