Hina Khan

‘নমাজ পড়তে গিয়ে মা কাঁদে, বন্ধ ঘরে প্রয়াত বাবার সঙ্গে কথা বলি’, অসুস্থতার মধ্যে কী হল হিনার?

২০২১-এর এপ্রিল মাসে বাবাকে হারিয়েছেন হিনা খান। বাবা বেঁচে থাকলে ক্যানসার নিয়ে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন বলে মনে করেন অভিনেত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৬:৪৬
Share:
Actress Hina Khan said that she talks to her late father often

অসুস্থতায় বাবাকে দেখতে পেতেন হিনা। ছবি: সংগৃহীত।

ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন হিনা খান। গত বছর প্রকাশ্যে এনেছিলেন জটিল রোগের কথা। কেমো নেওয়া থেকে শুরু করে চুল কেটে ফেলা— কঠিন সফরের খুঁটিনাটি ভাগ করে নিয়েছেন হিনা। অসুস্থতার সময়ে পাশে থেকেছেন অভিনেত্রীর মা। কিন্তু মাঝেমধ্যে ভেঙে পড়েছেন তিনিও। গোপনে চোখের জল ফেলেছেন। তবে ধরা পড়ে গিয়েছেন মেয়ের কাছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনিই জানালেন হিনা।

Advertisement

মেয়ের থেকে নিজের যন্ত্রণা গোপন করতে বাড়ির বারান্দায় ছুটে যেতেন হিনার মা। অভিনেত্রী বলেছেন, “কষ্ট হলেই মা বাড়ির বারান্দায় ছুটে যেতেন, সেখানেই বেশ কিছু ক্ষণ বসে থাকতেন। আবার কখনও, সামলাতে না পেরে আমার সামনেও কেঁদে ফেলতেন।” নমাজ পড়ার সময় সবচেয়ে বেশি কান্নাকাটি করতেন তিনি। হিনার কথায়, “নমাজ পড়ার সময়ে মা খুব কাঁদতেন। খুব কষ্ট হত এই সময়গুলোতে। কিন্তু আমি নিজেকে শান্ত রাখতাম। যদিও এমন সময়ও এসেছে, নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি এই সব দেখে। ভেঙে পড়তাম। মা যখন কাঁদতেন, কিছুই করার থাকত না। তবে মা যে ভাবে এই সময়ে নিজেকে সামলেছেন, আমার গর্ব হয়।”

২০২১-এর এপ্রিল মাসে বাবাকে হারিয়েছেন হিনা খান। বাবা বেঁচে থাকলে তাঁর অসুখের খবরে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “আমার বাবা খুব নরম মনের মানুষ ছিলেন। অতিমারির সময়ে প্রতিবেশীর করোনা হয়েছে জেনে খুব উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। তবে আমার মায়ের মন শক্ত।”

Advertisement

হিনা ও তাঁর মা প্রায়ই আলোচনা করেন, বাবা বেঁচে থাকলে কী বলতেন। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমাকে রানির মতো করে রাখতেন বাবা। তাই এই কষ্ট আমার বাবা সহ্য করতে পারতেন না। ভাল হয়েছে, আমাকে বাবার এই ভাবে দেখতে হয়নি।”

তবে এই অসুস্থতার মধ্যেও বাবার উপস্থিতি অনুভব করেছেন তিনি। হিনা বলেছেন, “বহু বার আমি আমার চারপাশে বাবাকে দেখেছি। ঘরে যখন কেউ থাকে না, বাবার সঙ্গে আমি কথা বলি। বাবা যেখানে বসতেন, মনে হয় সেখানেই বাবা বসে আছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement