হংসলকে একহাত নিলেন কঙ্গনা। ছবি: সংগৃহীত।
বিতর্কে কুণাল কামরা। কৌতুকশিল্পীর মন্তব্য ঘিরে ধুন্ধুমার মুম্বই শহরে। এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে তরজায় জড়ালেন কঙ্গনা রনৌত ও হংসল মেহতা। এর আগেও বহু বার পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কুণাল। এ বার তিনি শিবসেনা মন্ত্রী একনাথ শিন্দেকে নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন। মন্তব্যের জেরে ভাঙচুর চালিয়েছেন শিবসেনা সদস্যেরা।
যে স্টুডিয়োয় কুণাল অনুষ্ঠান করেছিলেন, সেখানে প্রথমে ভাঙচুর চালান শিবসেনা সদস্যেরা। তার পরে ওই স্টুডিয়ো ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার সমালোচনা করে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন পরিচালক হংসল মেহতা। কুণালকে গালিগালাজ করার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। তার পরেই তাঁর দিকেও ধেয়ে এসেছে একাধিক প্রশ্নবাণ। এক নিন্দক প্রশ্ন তোলেন, কুণালের স্টুডিয়ো ভেঙে দেওয়া সরব হচ্ছেন হংসল। কিন্তু কঙ্গনার বাড়ি যখন ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি কেন কোনও মন্তব্য করেননি?
সেই প্রশ্নের উত্তরে হংসল বলেন, “ওঁর (কঙ্গনা) বাড়িতে কি ভাঙচুর চালানো হয়েছিল? দুষ্কৃতীরা কি ওঁর বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন? ওঁর বাক্স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কি কেউ কিছু করেছিলেন? দয়া করে আমাকে জানাবেন। হতেই পারে, আমি হয়তো সঠিক তথ্য জানি না।”
হংসলের এই উত্তরের পাল্টা দিয়েছেন কঙ্গনা। পরিচালকের তোলা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তিনি লিখেছেন, “আমাকে গালাগাল করা হয়েছিল। হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মধ্যরাতে আমার বাড়ির নিরাপত্তরক্ষীর হাতে একটি নোটিশ ধরানো হয়েছিল। পরের দিন সকালেই বুলডোজ়ার দিয়ে আমার বাড়িটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি এই বিষয়টিকে হাইকোর্টও বেআইনি বলে দাবি করেছে।”
এখানেই শেষ নয়। কঙ্গনা ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, “আমার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এই নিয়ে হাসাহাসিও করা হয়েছিল। আমার যন্ত্রণা নিয়ে মশকরা করা হয়েছিল জনসমক্ষে।” এর পরে সরাসরি হংসলকে একহাত নিয়ে সাংসদ অভিনেত্রী বলেন, “আপনার নিরাপত্তাহীনতা ও মধ্যমেধা আপনাকে খুবই বোকা মানুষে পরিণত করেছে। আপনাকে অন্ধ করে দিয়েছে। আপনার বানানো তৃতীয় শ্রেণির ছবি বা সিরিজ়ের মতো বিষয় এটি নয়। আমার যন্ত্রণা নিয়ে আপনার বোকামি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন না। দূরে থাকুন।”