(বাঁ দিকে) মদন মিত্র। লাভলি মৈত্র (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
নেতা থেকে অভিনেতা হয়েছেন মদন মিত্র। শুক্রবার ছবিমুক্তির দিনেও বিধানসভার বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই মন্ত্রী-বিধায়কদের তাঁর ছবি ‘ওহ লাভলি’ দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। তাঁকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যাঁর নামের সঙ্গে অদ্ভুত মিল রয়েছে মদন অভিনীত ছবির নামের। তিনি সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। তিনি আবার সেই ছবি দেখতে চান নামমিলন্তির টানে।
শুক্রবার অধিবেশন শেষে মদন যখন বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে কয়েক জন বিধায়কের সঙ্গে নিজের ছবির বিষয়ে কথা বলছিলেন, সেই সময়ই কামারহাটির বিধায়ককে ছবিমুক্তির শুভেচ্ছা জানাতে যান সোনারপুর দক্ষিণের অভিনেত্রী বিধায়ক। হাসিমুখে মদন তাঁকে বলেন, ‘‘ছবি দেখতে যেও লাভলি।’’ মাথা নেড়ে ছবি দেখতে যাবেন বলে সম্মতিসূচক ইঙ্গিতও দেন লাভলি। এর পরেই অভিনেত্রী-বিধায়কের কাছে আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চায়, মদনের সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে। জবাবে অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিক হওয়া লাভলি বলেন, ‘‘জনপ্রিয় মানুষ মদনদা। তাঁকে আমাদের সকলের উৎসাহ দেওয়া উচিত।’’ আপনি কী মদন মিত্র অভিনীত ছবি দেখতে যাবেন? জোর দিয়ে লাভলি বলেন, ‘‘আমার নাম লাভলি। আর ছবির নাম ‘ওহ লাভলি’। তাই আমাকে তো মদনদার ছবি দেখতেই হবে।’’ নিজের বিধানসভার কাজের জন্য শনিবার রাত পর্যন্ত ‘ওহ লাভলি’ দেখার সময় পাননি লাভলি। তবে বলছেন, ‘‘সময় ও সুযোগ হলেই ‘ওহ লাভলি’ দেখতে যাবই।’’
মদনের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিক নন লাভলি। কিন্তু ‘জল নূপুর’ টিভি সিরিয়ালের খাতিরে বাংলার ঘরে ঘরে এখন পরিচিত মুখ তিনি। আসল নাম অরুন্ধতী হলেও, লাভলি নামেই অভিনয় জগতে পরিচিত। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ অথচ টিভির পর্দার অতি পরিচিত মুখ লাভলিকে সোনারপুর দক্ষিণের প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়েই জয়ী হয়েছিলেন। অল্প সময়েই রাজনীতির পাঠ শিখেছেন তিনি। আর বিধানসভায় তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডের নেতৃত্বেও দেখা যায় তাঁকেই। ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র ও সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসি বেগমকে সঙ্গী করেই বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে টক্কর দেন সমানে সমানে।
তাই এ বার মদনের ছবি দেখার ক্ষেত্রেও তাঁকেই নেতৃত্বে চাইছে তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা।