অহনাকে অনুষ্ঠান আয়োজকের হুমকি! ছবি: ফেসবুক।
অক্টোবরে তিনি ২৯০টিরও বেশি শো পেয়েছেন। নভেম্বরেই সেই ছবি বদলে গেল! শুধু দু’ জায়গায় অনুষ্ঠানের সুযোগ পেয়েছেন অহনা দত্ত। বিষয়টি অনুষ্ঠান আয়োজকের নজরে আনার চেষ্টা করতেই অনুষ্ঠান না পাওয়ার হুমকি পেলেন ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র খলনায়িকা ‘মিশকা’। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তাঁর অভিযোগ, “একেই শিল্পীজীবন অনিশ্চিত। তার উপরে যদি কাজ না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় তা হলে তো কিছু বলারই নেই!” শুধু তাই নয়, তাঁকে কাঠগড়ায় তোলার শাসানিও দেন অভিযুক্ত।
এখানেই শেষ নয়। তিনি ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকের সঙ্গে যে চুক্তিপত্র সই করেছিলেন তার থেকেও মুক্তি পাচ্ছিলেন না। নিরুপায় অহনা এর পরেই বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সমাজমাধ্যমে লাইভে আসেন।
সবিস্তার জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অহনা বলেন, “গত দু’বছর আমি অন্য অনুষ্ঠান আয়োজকের সঙ্গে কাজ করেছি। তাঁর সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়নি। চলতি বছর নতুন অনুষ্ঠান আয়োজকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই। ওঁর সঙ্গে শুরু থেকেই নানা সমস্যা। তার উপরে অনুষ্ঠান পাচ্ছিলাম না। বিষয়টি নজরে এনে ওঁর সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলার অনুরোধও জানাই।” সেই অনুযায়ী, তিনি বৃহস্পতিবারেও ফোন করেন অনুষ্ঠানের আয়োজককে। আয়োজকের গলায় তখন প্রচণ্ড বিরক্তি। তিনি জানান, অন্যান্য অভিনেত্রীরা দর্শকদের যত প্রিয়, তাঁদের শো দিয়ে তাঁর যত লাভ হয়, অহনার ক্ষেত্রে সেটা নাকি হয় না। কারণ, অভিনেত্রী নাকি অন্যান্যদের মতো ততটাও জনপ্রিয় নন! অহনার প্রশ্ন, তাঁর আগের অনুষ্ঠান আয়োজক কখনও তাঁকে এই ধরনের কথা বলেননি। তা হলে কি হঠাৎ করে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ল? তখনও অহনা তাঁর সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলতে প্রস্তুত। কিন্তু আয়োজক হুমকি দিলে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। সমাজমাধ্যমে এসে প্রতিবাদ করেন। এত কিছুর পরেও ওই আয়োজক কিন্তু চুক্তিপত্র থেকে মুক্ত করছিলেন না অভিনেত্রীকে। বরং তাঁর সঙ্গে থেকে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
অহনার কথা অনুযায়ী, আগের আয়োজকের সঙ্গে তাঁর কোনও সমস্যা ছিল না। তা হলে কেন আয়োজক বদলালেন? জবাবে অভিনেত্রীর বক্তব্য, তিনি শুনেছিলেন এই আয়োজক খ্যাতনামীদের সঙ্গে বেশি কাজ করেন। তাঁর যোগাযোগ বেশি। তাই তিনি কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এ দিকে অভিনেত্রী লাইভে আসার পরেই নাকি আয়োজকের কথা বলার ভঙ্গি বদলে গিয়েছে। নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অভিযোগকারিণীর কাছে। চুক্তিপত্র থেকেও মুক্ত করেছেন তাঁকে।