অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী
বলেছেন পরে। আগে নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী স্বয়ং। পোস্ট হওয়া মুহূর্তের শুরুটা দেখলে সবার এমনটাই মনে হতে বাধ্য। ক্যাপশনে নিজের বিয়ের খবরে নিজেই হতবাক, ‘হে ভগবান, আমার বিয়ে!’ সত্যিই কি সাতপাক ঘুরলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী? মুখ খুলেছেন তিনি নিজেই, ‘এ রকম ভুলভাল তথ্য আর খবর একদম বিশ্বাস করবেন না'। এ ভাবেই কি তিনি সংবাদমাধ্যমকেও এক হাত নিলেন?
তারকাদের মৃত্যু, বিয়ে নিয়ে প্রায়ই সত্যিমিথ্যে খবর পরিবেশিত হয়। কিছু দিন আগেই যেমন নেটমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মঞ্চ-পর্দাখ্যাত অভিনেতা চন্দন সেন। আসলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাট্যকার চন্দন সেন। নাম এক হওয়ায় এই ভ্রান্তি। আনন্দবাজার ডিজিটালকে তখনই ‘খড়কুটো’র ‘ভজনবাবু’ জানিয়েছিলেন, ‘‘আগে এগুলো শুনলে প্রতিক্রিয়া হত। এখন বিরক্ত হই।’’
খবর রটনা না ঘটনা, বুঝবেন কী করে অনুরাগীরা? ভিডিয়োয় তারও টিপস দিয়েছেন ঋতাভরী। ৮ রকমের তথ্য যাচাই করে নিতে বলেছেন সবাইকে। পাশাপাশি একান্ত অনুরোধ, ‘দয়া করে ভুয়ো খবর ছড়াবেন না'। প্রকৃত ঘটনা কী? কিছু দিন আগেই মুম্বইয়ের এক গয়না বিপণির হয়ে বিজ্ঞাপনী শ্যুট করেন তিনি। সেখানে কনের বেশে সেজেছিলেন অভিনেত্রী। বিয়ের একাধিক আচারও পালন করতে দেখা যায় তাঁকে। নেটমাধ্যমে প্রচারিত মুহূর্ত বলছে, সেই বিজ্ঞাপনী চিত্রের কিছু অংশ কেটে নিয়ে ঋতাভরীর বিয়ের খবর পরিবেশিত হয়। যা দেখে বিভ্রান্ত বহু অনুরাগী। বিষয়টি নজরে পড়তেই এই পদক্ষেপ তাঁর।
অনুরাগীরাও সমর্থন জানিয়ে নিজেদের মত তুলে ধরেছেন। কেউ কেউ খবরটিকে সত্যি ভেবেছেন। কেউ আবার সাতপাক ঘুরে ফেলার পরামর্শও দিয়েছেন অভিনেত্রীকে। যদিও অন্য পথে হেঁটেছেন জনৈক নেটাগরিক। তাঁর মতে, ‘শুরুটা শুনেই বুঝে গিয়েছিলাম, এটা ভুয়ো খবর'। তিনি ঋতাভরীর ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ বলেও দাবি করেছেন নিজেকে। সঙ্গে অনুরোধ, ‘যখন বিয়ে করবে দয়া করে ইনস্টাগ্রামে জানিও। তোমার জন্য উপহার রাখা আছে'।