Bengali serial

ঘরোয়া চাউমিন দেখে নাক শিঁটকোচ্ছেন নায়ক! বাস্তবে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েও কী ভাবে সুঠাম রণজয়?

খাদ্যরসিক হলেও, রণজয়ের চেহারার গড়ন অন্য কথা বলে। প্রায়ই সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন নিজের বলিষ্ঠ পেশীর ছবি। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও তাই কম নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৭
Share:

খাদ্যরসিক হয়েও সুঠাম রণজয়। ছবি: সংগৃহীত।

পেটপুজোয় মেতেছেন ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা। কিছু দিন আগেই ধারাবাহিকের সেটে আইবুড়ো ভাত খেয়েছেন নায়িকা শ্বেতা ভট্টাচার্য। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বার ক্যামেরার সামনেই খাওয়াদাওয়া পর্বে মাতল ধারাবাহিকের অনিকেত ও শ্যামলী।

Advertisement

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, অনিকেতকে নিজে হাতে চাউমিন বানিয়ে খাওয়াচ্ছে শ্যামলী। ঘরোয়া কায়দায় সেই চাউমিন বানিয়েছে নায়িকা। তাই খাবার দেখে প্রথমেই মুখ ফিরিয়েছে অনিকেত। যদিও এক চামচ চাউমিন মুখে তুলতেই তাঁর অভিব্যক্তিতে আসতে থাকে বদল। শ্যামলী যে রান্নাটা ভালই করে, তা বলে দেয় অনিকেতের মুখের আলতো হাসি। বাস্তবেও কি খাওয়াদাওয়া নিয়ে খুঁতখুতে অনিকেত, থুড়ি রণজয় বিষ্ণু?

প্রশ্ন করতেই সটান ‘না’ বলে দেন রণজয়। খাওয়াদাওয়া নিয়ে নাকি কোনও দিনই খুঁতখুঁতে নন তিনি। নিজেকে ‘খাদ্যরসিক’ ও ‘সর্বভূক’ বলতেও আপত্তি নেই রণজয়ের। অভিনেতা বলেছেন, “আমি খেতে খুবই ভালবাসি। সব ধরনের খাবারই আনন্দ করে খাই। খাওয়াদাওয়ায় কোনও বাছবিচার নেই আমার।” ধারাবাহিকে যেমন ঘরোয়া চাউমিন দেখে অনিকেত মুখ ঘুরিয়েছেন, তেমন স্বভাব রণজয়ের নয়। অভিনেতার কথায়, “আমার অপছন্দের খাবার তেমন কিছুই নেই। ছোটবেলা থেকেই খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে আমাকে নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি।”

Advertisement

খাদ্যরসিক হলেও, রণজয়ের চেহারার গড়ন অন্য কথা বলে। প্রায়ই সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন নিজের বলিষ্ঠ ‘সিক্স প্যাকসে’র ছবি। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও তাই কম নয়। খাওয়াদাওয়ায় রাশ না টেনেও কি এমন চেহারার অধিকারী হওয়া যায়? রণজয়ের দাবি, “চাইলেই পাওয়া যায়। লোকজন বলে, খাওয়াদাওয়া করলে নাকি চেহারা ঠিক রাখা যায় না। কিন্তু তেমনটা নয়। আসলে খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চাও করতে হবে। সবটাই একসঙ্গে করা যায়। আমি নিজে খুব নিয়ম মাফিক চলি। তার একটা কারণ রয়েছে। যে কোনও খাবার যাতে নির্দ্বিধায় খেতে পারি, তার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করি।”

রোজই ধারাবাহিকের শুটিং থাকে। তার মধ্যেই শরীরচর্চার সময় ঠিক বার করে নেন। রণজয় বলেন, “রোজ তো সময় পাই না কাজের চাপে। সপ্তাহে চার দিন অন্তত ৪৫ মিনিট করে শরীরচর্চা করার চেষ্টা।” নিজে খাদ্যরসিক হলেও রান্নায় কোনও আগ্রহ নেই রণজয়ের। বাড়ির সমস্ত কাজ করতে পারলেও, রান্না করতে ভালই লাগে না নায়কের। রণজয়ের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, “রান্নাটা আমি একেবারেই পেরে উঠি না। পারিই না রান্না করতে। ভাত, ডাল, মাছ, আলু ভাজা রাঁধতে পারি ঠিকই। কিন্তু আমার একেবারে ভাল লাগে না। বাড়ির বাকি কাজ আমি করতে পারি।”

কিছু দিন আগেই ধারাবাহিকের সেটে নায়িকা আইবুড়ো ভাত খেয়েছেন। ১৯ জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন শ্বেতা। ধারাবাহিকের নায়কের পালা কবে? এমন প্রশ্নও রণজয়ের দিকে ছুটে আসছে ঠিকই। তবে এমন প্রশ্নে তিনি খুব একটা কান দিচ্ছেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement