ইন্ডাস্ট্রিতে সলমন খান বদমেজাজি হিসাবেই পরিচিত। রেগে গেলে সামনে কে আছেন তার পরোয়া করেন না তিনি।
সহকর্মীরা সকলেই বুঝেসুঝে চলেন ভাইজানের থেকে। তাঁর সামনে বুঝেশুনে কথাও বলতে হয় সকলকে। তা না হলেই বিপদ নিশ্চিত।
সহকর্মীরা সকলেই বুঝেসুঝে চলেন ভাইজানের থেকে। তাঁর সামনে বুঝেশুনে কথাও বলতে হয় সকলকে। তা না হলেই বিপদ নিশ্চিত।
মেজাজ এবং রাগে সলমনকে যিনি পরাস্ত করেছিলেন তিনি আর কেউ নন, রাজকুমার। সলমনের এক প্রশ্নের উত্তরে রাজকুমার তাঁকে তাঁর বাবার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
সলমনের কেরিয়ারের চূড়ান্ত সফল ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ মুক্তি পায় ১৯৮৯ সালে। ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি।
সলমন এবং ছবির নায়িকা ভাগ্যশ্রী দু’জনেই তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নবাগতা। এমনকি এ ছবির পরিচালক সূর্য বরযাজাতিয়ারও পরিচালনায় হাতেখড়ি এ ছবি দিয়েই।
সাধারণত নতুন মুখ নিয়ে ছবি করলে সে ছবির সফল হওয়ার সম্ভাবনা কমই থাকে। কিন্তু এই ছবির ক্ষেত্রে একেবারে আলাদা অভিজ্ঞতা হয়েছিল সকলের।
সলমন এবং ভাগ্যশ্রী জুটিকে দারুণ পছন্দ করেছিলেন দর্শক। বক্স অফিসে বড় আকারের লাভের মুখ দেখেছিল ছবিটি।
ডিসেম্বরে ছবিটি মুক্তি পায়। এর দু’মাস পর ফেব্রুয়ারিতে ফিল্মের সাফল্য উদযাপনে একটি পার্টি রেখেছিলেন পরিচালক।
ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত বড় মাপের অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা আমন্ত্রিত ছিলেন ওই পার্টিতে। কেরিয়ারের প্রথম বড় পার্টি বলে কথা, তাই সলমনের মেজাজই অন্য রকম ছিল সে দিন।
একে তো অনেকটা দেরিতে তিনি পৌঁছেছিলেন। তার উপর মদ্যপানও করেছিলেন অনেকটাই।
সলমন পৌঁছনোর পর পরিচালক তাঁকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। অভিনেতা রাজকুমারও পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলেন।
তিনি পরিচালককে আগে থেকেই বলে রেখেছিলেন সলমনের সঙ্গে পরিচয় করতে চান। তাই সলমনকে পরিচালক রাজকুমারের কাছে নিয়ে যান।
রাজকুমারের সঙ্গে সলমনের পরিচয় করিয়ে দেন। কিন্তু সলমন বুঝতে পারছিলেন না তাঁর বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি আসলে কে?
কিছু ক্ষণ কথাবর্তা চলার পর রাজকুমারের পরিচয় জানতে চান সলমন। রাজকুমারকে তাঁর নাম জি়জ্ঞাসা করে বসেন তিনি।
সলমনের এই বেফাঁস প্রশ্নে শুধু রাজকুমার নন, হাজির সকলেই অত্যন্ত বিস্মিত হয়ে যান। সুপারস্টার রাজকুমারকে চেনেন না এমন লোক ইন্ডাস্ট্রিতে মেলা ভার।
রাজকুমার নিজের পরিচয় দেননি। পাল্টা সলমনের উপর বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন তাঁর বাবা সেলিম খানকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে যে রাজকুমার কে?
পরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন সলমন। এর পর যত বারই মুখোমুখি হয়েছেন দু’জনে সে দিনের জন্য সলমন দুঃখপ্রকাশও করেন রাজকুমারের কাছে।