ছোট থেকেই ভালবাসতেন বিনোদন মঞ্চের অংশ হতে। পূরণ হয়েছিল স্বপ্নও। কিন্তু জীবনের মঞ্চ থেকে বিদায় নিতে হল খুব তাড়াতাড়ি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন অভিনেতা মোহিত বাঘেল।
উত্তরপ্রদেশের মথুরায় মোহিতের জন্ম ১৯৯৩-এর ৭ জুন। পড়াশোনা মথুরার সেন্ট পল স্কুলে। মথুরাতেই দাদা পুনীতের সঙ্গে বড় হওয়া মোহিতের।
মাত্র ১১ বছর বয়সে, ২০০৪ সালে মোহিত জয়ী হন ‘ইউপি সিনে স্টার কি খোঁজ’ প্রতিযোগিতায়। তার চার বছর পরে মোহিতের প্রথম কাজ টেলিভিশনে, ‘ছোটে মিয়াঁ’ সিরিয়ালে।
বড় পর্দায় কাজের জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হয় আরও সাত বছর। প্রথম ছবিতেই কাজ সলমন খানের সঙ্গে।
২০১১ সালে মুক্তি পায় মোহিতের প্রথম ছবি ‘রেডি’। এই ছবিতে তাঁর অভিনীত চরিত্র ‘অমর চৌধুরি’ দাগ কাটে দর্শক-মনে। এর পর বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
মোহিতের ফিল্মোগ্রাফিতে উল্লেখযোগ্য অন্যান্য ছবি হল ‘উভা’, ‘জবরিয়া জোড়ি’ এবং ‘এক চাড্ডি চার ইয়ার’।
অভিনয়ের মাঝে সময় পেলেই মোহিত বেড়াতে যেতেন। ভালবাসতেন পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে। ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করতেন পোষ্যদের ছবি।
সবাইকে নিঃসঙ্গ করে মাত্র ২৬ বছর বয়সে চলে গেলেন মোহিত। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনয়। হার মানলেন ২৩ মে।
নিজের শহর মথুরায় প্রয়াত হন অভিনেতা। তাঁর বাড়ির লোকের অভিযোগ, লকডাউনের জেরে হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
লেখক-পরিচালক রাজ শাণ্ডিল্যকে নিজের মেন্টর বলে মনে করতেন মোহিত। পরিচালক হিসেবে রাজের প্রথম ছবি ‘ড্রিম গার্ল’ মুক্তি পায় ২০১৯-এ। সেখানে মোহিতের অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু ডেট-সমস্যার জন্য সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারণ সে সময় মোহিত ব্যস্ত ছিলেন ‘মিলন টকিস’ এবং ‘বান্টি অউর বাবলি ২’ ছবির কাজ নিয়ে।
মোহিতের অকালমৃ্ত্যুতে মর্মাহত রাজ টুইট করেছেন শোকবার্তা। জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মোহিতের শেষ কথা হয় ১৫ মে। সে সময় তিনি সুস্থ হচ্ছিলেন ধীরে ধীরে। দু’জনের একসঙ্গে আরও কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন যে এ ভাবে শেষ হয়ে যাবে, ভাবতে পারছেন না রাজ।
অভিনয়ের পাশাপাশি হাসিখুশি ও মিশুকে স্বভাবের জন্যও ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় ছিলেন মোহিত। তাঁর মৃ্ত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সিদ্ধার্থ মলহোত্র এবং পরিণীতি চোপড়াও। দু’জনেই তাঁর সঙ্গে ‘জবরিয়া জোড়ি’-তে কাজ করেছিলেন।